বন্দরে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ার জের ধরে চিহ্নিত মাদক কারবারি দম্পতিসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের সন্ত্রাসী হামলায় প্রতিবাদী যুবক রাজু আহত হয়েছে। আহত যুবক রাজু বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা কেএনসেন রোড এলাকার মৃত মিলন মিয়ার ছেলে।  

এ ঘটনায় আহত যুবক রাজু বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে বন্দর থানায়  মাদক কারবারি দম্পতি বিল্লাল ও তার স্ত্রী নাজমিনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এর আগে সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা দেড়টায়  বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা কে এন সেন রোডস্থ সামাদ  ফ্লেক্সিলোডের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপরে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাহ ও তার স্ত্রী নাজমিন মাহামুদনগর  এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বিবাদীরা বাদী বসত বাড়ির পেছনে ভাড়া থাকে এবং সেখান থেকেই মাদক বিক্রয় করে।

এ বিষয়ে বিবাদীদের বাধা নিষেধ করলে বিবাদীরা অভিযোগের বাদীকে  বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছিলো। বিবাদীদের এহেন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে অত্র এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং এলাকার যুব সমাজ মাদক সেবনের মত অপকর্মে জড়িয়ে পরেছে।

অত্র এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি বিবাদীদের মাদক বিক্রয় করতে বাধা নিষেধ করলে এর জের ধরে সোমবার দুপুরে বন্দর থানাধীন দড়ি সোনাকান্দা কে এন সেন রোড সামাদের ফ্লেক্সিলোডের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী দম্পতিসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বেআইনি জনতাবদ্ধে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদী উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমাট নীলাফুলা জখম করে।

মারপিটের এক পর্যায়ে ১নং হইতে ২নং বিবাদীরা আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ব্যবসায়ীক নগদ ২০,৫০০/- (বিশ হাজার পাঁচশত) টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ১নং হইতে ২নং বিবাদীরা আমাকে সুযোগ পেলে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

বিবাদীরা আইন অমান্যকারী খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা যেকোন সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এণাকাবাসী জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী দম্পত্তী দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি করে আসছিল।  তাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।   
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক ব যবস য় এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

রায়ে ন্যায়বিচার হয়েছে, স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন

শেখ হা‌সিনার বিরু‌দ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়েছে, দে‌শে স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের তাৎক্ষ‌ণিক প্রতিক্রিয়ায় তি‌নি এ মন্তব‌্য ক‌রেন।

আরো পড়ুন:

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পাইলটের ভুলে মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন

মাওলানা ইউনুস আহমদ ব‌লেন, “এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়েছে, মজলুম জনতার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এই রায় আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে জনতার ওপরে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

তিনি বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদ অনেক বিস্তৃত অপরাধচক্র গড়ে তুলেছিল। সেই চক্রের প্রধান সম্পর্কে একটি মামলার রায় হলো। পর্যায়ক্রমে সব অপরাধীকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শহীদ পরিবার ও আহতদের প্রতি আমাদের সন্মান ও বেদনা আবারো ব্যক্ত করছি।”

তিনি আরো বলেন, “আইন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি। আইনের নিজস্ব গতি ও ধারাতেই সব অপরাধের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করবো, রায় ঘোষিত হওয়ার পরে এখন আবশ্যকীয় সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুততার সঙ্গে রায় বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।”

মহাসচিব বলেন, “আজকের দিন আমাদের জন্য আনন্দের। এই দিনে আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করব। দেশবাসী কাউকে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেও দেবে না এবং আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো কোনো কাজ কেউ করবেন না।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ