প্রথম আলো:

আপনার সুর ও সংগীতায়োজনে একসঙ্গে প্রথমবার গাইলেন হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যান্‌সি।

ইমরান মাহমুদুল : নাটকের ডিরেক্টর চেয়েছিলেন, হাবিব ভাইকে দিয়ে একটি গান করাবেন। পরে মনে হয়, হাবিব ভাই ও ন্যান্‌সি আপু হলে দারুণ হবে। এই জুটি মানেই তো একটা ইমোশন। অনেক দিন পর এই জুটির গান পাবেন দর্শক। হাবিব ভাই আমার গুরু। গুরুর জন্য গান করাটা সব সময়ই স্বপ্নের মতো। কাজটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। ‘আমার দিনগুলো সব যায় হারিয়ে আঁধারে’ গানটি পরে শ্রোতৃপ্রিয়তা পেয়েছে।

প্রথম আলো:

ফেসবুকে দর্শকদের উদ্দেশে লিখলেন, আপনার সঙ্গে পড়শীর কোন গানগুলো দর্শক বেশি পছন্দ করেন। উল্টো ভক্তরা কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন, কোন গানটি আপনার বেশি পছন্দ?

ইমরান মাহমুদুল : সামনে আমাদের একটা গান আসছে। যে কারণে আগেই একটু ভক্তদের জানিয়ে দেওয়া। আমরা বলতে গেলে একই সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। আমাদের গান নিয়ে দর্শকদের আলাদা একটা ভালোবাসা জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের জুটির গান পছন্দ করেন দর্শক। যে কারণে আমি আর পড়শী যত গান করেছি, তার প্রায় সবই জনপ্রিয়। এর মধ্যে ‘জনম জনম’ আমার ভালো লাগে। এটি পড়শীরও পছন্দের গান যতটা জানি। পড়শীর গাওয়া সর্বাধিক ভিউর একটি গান। ২০১৩ সালে গানটি প্রকাশ পায়। গানটির মধ্যে আলাদা একটা ইমোশন জড়িয়ে রয়েছে। এটাই পছন্দ হওয়ার কারণ বলে মনে করি।

ইমরান মাহমুদুল। শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পছন দ

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর–সংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক, সতর্ক অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। এ নিয়ে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকাসংলগ্ন মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে দিনভর সংঘর্ষের পর অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

আজ সোমবার রাত আটটার পর মিরপুর থেকে নিউমার্কেটগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। আর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিউমার্কেট থেকে মিরপুরগামী সড়কটি খুলে দেওয়া হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনের সড়কটিতে ছোট ছোট ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের কাউকে দেখা যায়নি। পরে রাত ১১টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কটির প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কটি দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাটিতে বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক রাতে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি। যান চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে রাতেও পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকবে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড হয়। সাবেক আইজিপি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের হয় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড (তিনি রাজসাক্ষী বা অ্যাপ্রুভার ছিলেন)।

এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন দল, সংগঠন, প্ল্যাটফর্ম ও ব্যক্তি পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ওই বাড়িটি ভাঙার ঘোষণা দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

রাত ১০টার পর নিউমার্কেট-মিরপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ