‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়া সেই ছাত্রদল কর্মীকে আসামি করে মামলা
Published: 17th, November 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ওরফে জহির হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ‘আউট’ লিখে ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করা ছাত্রদল কর্মী কাউছার মানিক ওরফে ছোট কাউছারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর এলাকা থেকে কাউছার মানিকের তিন সহযোগী হুমায়ূন কবির সেলিম (৫০), ইমন হোসেন (২১), আলমগীর হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের আধা ঘণ্টা পর কাউছার তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আউট’ লিখে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ একটি ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং নিহত ব্যক্তির পরিবার তাঁকে হত্যার অন্যতম দায়ী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। খুনের মামলায় কাউছারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
আবুল কালাম হত্যার পর আউট লিখে ভিডিও পোস্ট করেন ছাত্রদল কর্মী কাউছার মানিক ওরফে ছোট কাউছার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।”
আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”
দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”
তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”
দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”
ঢাকা/ফিরোজ