ফেনীতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে কেরোসিন, পেট্রল, গ্যাস লাইটসহ পৃথক অভিযানে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁদের মধ্যে আজ সন্ধ্যায় আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই যুবক। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় যানবাহনে আগুন দেওয়ার সময় আবদুল্লাহ আল মাসুম (২২) ও মোহাম্মাদ রাজু (২০) নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। দুজনই সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী জনৈক রাজু তাঁদের মুঠোফোনে ফোনে টাকা পাঠান। নির্দেশনা দেওয়া হয় লালপোল এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন লাগাতে। এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিমের পক্ষে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভিডিও করে পাঠাতেও বলা হয় তাঁদের। তাঁদের কাছ থেকে এক বোতল পেট্রল, এক বোতল কেরোসিন, গ্যাস লাইট ও টেপ উদ্ধার করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।

ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলি আদালত) মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ফুলগাজী-পরশুরাম আমলি আদালত) মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে আবদুল্লাহ আল মাসুম ও মোহাম্মাদ রাজু নিজেদের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

এদিকে নাশকতার চেষ্টাকালে আজ সকালে শহরের মহিপাল ও সদর উপজেলার লেমুয়ায় আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম (২১), মোহাম্মাদ নাহিদ(২২) ও আশরাফুল হক (২১) এবং শহরের মহিপাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ জিসান (১৯), ফারদিন ইসলাম (১৮), মোহাম্মদ সোহেল (১৮) ও সিরামকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ম হ ম মদ ন শকত র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে নাশকতার চেষ্টা, কেরোসিন, পেট্রোল, গ্যাস লাইটসহ গ্রেপ্তার ৯

ফেনীতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে কেরোসিন, পেট্রল, গ্যাস লাইটসহ পৃথক অভিযানে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাঁদের মধ্যে আজ সন্ধ্যায় আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই যুবক। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি উপলক্ষে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় যানবাহনে আগুন দেওয়ার সময় আবদুল্লাহ আল মাসুম (২২) ও মোহাম্মাদ রাজু (২০) নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। দুজনই সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী জনৈক রাজু তাঁদের মুঠোফোনে ফোনে টাকা পাঠান। নির্দেশনা দেওয়া হয় লালপোল এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন লাগাতে। এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন নাসিমের পক্ষে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভিডিও করে পাঠাতেও বলা হয় তাঁদের। তাঁদের কাছ থেকে এক বোতল পেট্রল, এক বোতল কেরোসিন, গ্যাস লাইট ও টেপ উদ্ধার করা হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।

ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলি আদালত) মোহাম্মদ হাসান ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ফুলগাজী-পরশুরাম আমলি আদালত) মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে আবদুল্লাহ আল মাসুম ও মোহাম্মাদ রাজু নিজেদের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

এদিকে নাশকতার চেষ্টাকালে আজ সকালে শহরের মহিপাল ও সদর উপজেলার লেমুয়ায় আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া এলাকা থেকে রাকিবুল ইসলাম (২১), মোহাম্মাদ নাহিদ(২২) ও আশরাফুল হক (২১) এবং শহরের মহিপাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ জিসান (১৯), ফারদিন ইসলাম (১৮), মোহাম্মদ সোহেল (১৮) ও সিরামকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ