শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সিলেট ও কেরানীগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ
Published: 17th, November 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর সিলেট ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় রায় পড়া শুরু হয়। দণ্ড ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে রায় শেষ হয়।
এই রায় ঘিরে আজ সকাল থেকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন সিলেটের এনসিপির নেতারা। রায় ঘোষণার পর নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মিষ্টি বিতরণ হয়। পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর এনসিপির ব্যানারে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেন।
শোভাযাত্রাটি সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে নগরের জিন্দাবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে ফের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে যুবদল ও যুবশক্তির নেতা-কর্মীরা পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। আজ সোমবার বিকেলে কদমতলী লায়ন শপার্স বিপণিবিতানের সামনে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ঝিনাইদহের রাকিবুল হোসেনের মা ও বাবা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ ও জুলুমের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায়: খেলাফত মজলিস
রায়ে খুশি শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মা
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের পর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা আবুবকর সিদ্দিক ও মা হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে উল্লিখিত দাবি জানান।
হাফিজা খাতুন বলেছেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে আজ সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শহীদের মা হিসেবে আমি আজ আংশিক সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন। আমি যেন শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে পারি।
আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামালসহ জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সকলের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। যারা গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। আজ আমরা খুশি। শেখ হাসিনা বহু মায়ের বুক খালি করেছে। একজন নারী হয়েও সে কীভাবে এত মায়ের সন্তানকে হত্যার আদেশ দিয়েছে, তা আমরা ভেবে পাই না।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক