ম্যানহোল থেকে ভেসে আসছিল চিৎকার, ঢাকনা খুলে ‘নিখোঁজ’ নারীকে উদ্ধার
Published: 17th, November 2025 GMT
হাঁটতে যাচ্ছেন বলে গত বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর জেল রোড এলাকার বাড়ি থেকে বের হন নিলুফার ইয়াসমিন (৩৮)। এরপর তিন দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় তাঁর বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর মধ্যে ম্যানহোলের ভেতর থেকে তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে শনিবার মধ্যরাতে বাড়িতে দিয়ে যান কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিলুফার ইয়াসমিন নগরের জেল রোড এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তিনি নগরের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে ২০১৩ সালের দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ আইডিয়াল কলেজে প্রভাষক হিসেবে চাকরিও নেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। এর পর থেকে মা–বাবার সঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁর বাবা লিয়াকত আলী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে হিসাবরক্ষক পদে চাকরি শেষে অবসর জীবন যাপন করছেন।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় নীরবতা। এ সময় নিলুফার ইয়াসমিনকে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। তাঁর বাবা লিয়াকত আলী বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর মেয়ে হাঁটতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তাঁর খোঁজ না মেলায় বৃহস্পতিবার থানায় একটি জিডি করেন। আশপাশ ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই অবস্থায় শনিবার রাত একটার দিকে কয়েকজন লোক তাঁর মেয়েকে বাসায় দিয়ে যান।
লিয়াকত আলী আরও বলেন, ‘লোকজন জানিয়েছেন, আমার মেয়ে ম্যানহোলের ভেতরে আটকা ছিল। কীভাবে আমার মেয়ে সেখানে পড়েছে তা বলতে পারছি না। আমার মেয়ের মানসিক সমস্যা থাকায় প্রায়ই এভাবে বাসা থেকে বের হয়ে যেত। কিন্তু তিন-চার মাস ধরে ওষুধে কিছুটা সুস্থ থাকায় বাসা থেকে বের হতো না। ওই দিনই বের হয়ে যায়। আমার মেয়ে ম্যানহোলে তিন দিন ধরে না তিন ঘণ্টা ধরে পড়ে ছিল, তা বলতে পারছি না।’
ময়মনসিংহ নগরের জেল রোড এলাকায় ম্যানহোলের ঢাকনাটি খোলে উদ্ধার করা হয় নিলুফার ইয়াসমিনকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভেঙে গেল মীরার তৃতীয় সংসার
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীরা বাসুদেবনের সংসার ভেঙে গেছে। চিত্রগ্রাহক বিপিন পুঠিয়াঙ্কমের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর এটি তৃতীয় সংসার ছিল। মীরা তার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে মীরা লেখেন, “আমি, অভিনেত্রী মীরা বাসুদেবন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি, গত আগস্ট ২০২৫ থেকে আমি সিঙ্গেল। আমি জীবনের অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পর্যায়ে আছি।”
আরো পড়ুন:
আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না: এসএস রাজামৌলি
রাশমিকাকে বিজয়ের চুম্বন, ভিডিও ভাইরাল
মীরা ও বিপিনের প্রথম পরিচয় জনপ্রিয় একটি টিভি সিরিয়ালের শুটিং সেটে। সময়ের সঙ্গে তাদের পেশাগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়ায়। ২০২৪ সালের মে মাসে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই জুটি। গত আগস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হলেও কয়েক মাস পর সেই ঘোষণা দিলেন মীরা।
২০০৫ সালে বিশাল আগরওয়ালকে বিয়ে করেন মীরা। ৫ বছর সংসার করার পর ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যান এই অভিনেত্রী। ২০১২ সালে জনের সঙ্গে দ্বিতীয়বার সংসার বাঁধেন মীরা। এ সংসারে তাদের আরিহা নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে এ সংসার ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ দিন একা থাকার পর বিপিনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন।
২০০৩ সালে তেলেগু ভাষার ‘গোলমাল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন মীরা বাসুদেবন। একই বছর বলিউডে অভিষেক ঘটে তার। একই বছরে তামিল ভাষার ‘আন্নি সরনাদান্দেন’ সিনেমায় অভিনয় করেন মীরা। এ সিনেমার মাধ্যমে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। কেবল তাই নয়, ‘তামিল নাড়ু স্টেট ফিল্ম স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মীরা।
তবে মীরা বাসুদেবন প্রথম বড় পরিসরে প্রশংসা কুড়ান মোহনলালের বিপরীতে মালায়ালাম ভাষার ‘থানমাথরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে। এরপর ‘ওরুভান’, ‘একান্তম’, ‘কাক্কি’, ‘পাচমারাথানালিল’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘দেবী’, ‘পেন’, ‘পানালপুভু’ প্রভৃতি টিভি ধারাবাহিক অভিনয় করেও ঘরে ঘরে পরিচিতি লাভ করেন মীরা।
ঢাকা/শান্ত