নেত্রকোণার সদর উপজেলায় একই রাতে দুটি স্কুল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মনাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

আগুনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকদের একটি কক্ষ পুড়ে যায়। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় দেওয়া আগুনে একটি দরজা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরো পড়ুন:

‘আমি এতিম হয়ে গেলাম রে’

স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে ৮ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ 

এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা প্রথমে মনাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং প্রায় একই সময়ে সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধোঁয়া দেখে স্থানীয়রা ছুটে আসে। গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে আধাপাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি কক্ষগুলো পুড়ে যায়। দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।

খবর পেয়ে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মনাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম বলেন, ‘‘বিদ্যালয় পুড়ে যাওয়ায় সোমবার পাঠদান বন্ধ রাখা হয়।’’ 

নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহনেওয়াজ বলেন, ‘‘রাতে নাশকতা চালানো হয়। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।’’

ইউএনও আসমা বিনতে রফিক বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/ইবাদ/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আনোয়ারায় মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণী কয়েক মাস ধরে আনোয়ারা এলাকায় রয়েছেন। ধর্ষণের কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে তিনি কাতরাচ্ছিলেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করেন। এরপর জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছেন। চিকিৎসার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনোয়ারার ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, স্থানীয়ভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আনোয়ারায় মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ