গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান।

এই সকল দোকানের পজিশন বিক্রি করে দৈনিক তোলা হচ্ছে চাঁদা। তবে আইনশৃংখলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে চাঁদাবাজির কৌশল পাল্টিয়েছে চাঁদাবাজরা। তারা মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিলন।

সে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা তুলছে ফুটপাতের এই সকল দোকান থেকে। শুধু তাই নয়, শিমরাইল মোড়ের পরিবহন সেক্টর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা নিচ্ছে সে। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সরকারি জায়গায় পজিশন বিক্রি ও অর্ধশতাধিক দোকান ভাড়া দিয়ে অফেরৎযোগ অগ্রিম বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চাঁদাবাজ মিলন। এছাড়া ওই দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া বাবদ উত্তলন করছে।

যা মাসে গিয়ে দাড়ায় সাড়ে তিন লাখেরও বেশি। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহল ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে চরম ক্ষোভ।

সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের সাথে বিভিন্ন ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার ঘনিষ্ঠজন বলে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে মিলন। ফলে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ, এমনকি কেউ-ই থানা পুলিশের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেনা।  

অনুসন্ধানে জানা যায়, শিমরাইল কাসসাফ-২ মার্কেটের সামনে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গায় হকার মার্কেট বানিয়ে দোকান বসিয়ে দৈনিক চাঁদা আদায় করছে মিলন।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গায় সিএন্ডবির টোল গেইট ঘেষে ৫টি চা, শরবত ও খাবারের দোকান। মিনার মসজিদের সামনে রয়েছে ১টি বিরিয়ানীর দোকান।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিলন দোকান বসানোর পরে হুমকি প্রদান করে দোকানদারকে বলে যদি আমার নাম বলিস তাহলে তোর নামে মামলা ফ্রী, সাথে মাইর ও জরিমানা থাকবে।

চিটাগাং রোড এর ফুটপাতের এক দোকানি বলেন, সব চাইতে বড় ভুল করেছি তার (ফিটিং মিলন) মাধ্যমে এখানে দোকান বসিয়ে। মাঝে মধ্যে এসে বলে ২০০ টাকা দে বলে নিয়ে যায়, আবার ২০০ টাকা চাঁদাও দিতে হয়।  নিজে কি খামু আর পরিবারকে কি খাওয়ামু সব শেষ।

প্রতিদিন কে চাঁদা নেয় জানতে চাইলে বলে, আগে আক্তার ও রনি আইস্যা নিত, এখন একেক দিন একেক জন আইস্যা ফোন ধরাই দেয় আর ট্যাকা নিয়ে যায়। টাকা পরে দিতে চাইলে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইলে।

এদিকে মিলনের কাছ থেকে সরকারি জায়গা কিনে বহু ব্যবসায়ী নি:স্ব হয়েছে। এই চাঁদাবাজদের কাছ থেকে বসার পজিশন কিনার পর উচ্ছেদের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রহস্থ হয়েছেন বহু ব্যবসায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ফুটপাত ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পজিশন কিনার সময় সব কিছু দেখভাল করবে বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এখানে বসায় কে জানি আবার কবে উচ্ছেদ করে ফেলে। 

এরকম ঘটনা কিছুদিন আগে হয়েছিল তখন মিলনের কাছ থেকে এডভান্সের টাকা ফেরত চাইলেও দেয়নি বরং সে আমাদের হুমকি প্রদান করেছে। সে বলে আমি কাউন্সিলর সাদরিলের লোক এখানে ব্যবসা করতে হলে আমাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।

জানা যায়, মিলন নিজেকে শিমরাইলের মুন্সি বাড়ির আলমাস মুন্সির ছেলে পরিচয় দিলেও ভোটার আইডি কার্ডে পাওয়া যায় পিতার পরিচয় অন্য। জাতীয় পরিচয় পত্রে তার পিতার নাম রয়েছে মো.

খোরশেদ আলম।

তাকে মিলন হিসেবে চিনলেও বিভিন্ন ছদ্দ নাম আছে তার।  মিলন ওরফে মাসুদ রানা ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তন করেছে তার পরিচয় গোপন রাখার জন্য। বিভিন্ন অপকর্মে নিজেকে আড়াল করার নতুন কৌশল বলে জানা যায়।

সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের সাথে বেশ সখ্যতার কারণে এখন নিজেকে বিএনপির নেতা বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে এই চাঁদাবাজ। সাদরিলের পরিচয় বহন করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে চাঁদাবাজ মিলনের বিরুদ্ধে।

সাধারণ লোকদের নানা কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা ধার দেওয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  পাইনাদি নতুন মহল্লার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে টাকা ধার দেওয়ার নাম করে পরে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জোরপূর্বক ২৫% সুদসহ ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে এককালীন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সেলিম নামে এক ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ি জানান, আমি দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করেছি কেন তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলাম।  মিলন এসে বলে আমার ব্যবসার কি অবস্থা তো আমি বলি ভাই আরো কিছু টাকা হলে ভালো হতো।

সে আমাকে ২ লাখ টাকা ধার দিলে বললো ৪ মাসের মধ্যে ফেরত দিলেই হবে। পরে সে ১৪ দিন পরে কয় কিস্তির টেকা দাও, অনেক জমতাছে।

আমি কইলাম মুল টাকা দিয়া দিমু পরে ১ মাসের মধ্যে টাকা শোধ কইরা দেই। কিন্ত ছোট ছোট পোলাপাইন দিয়ে আমারে মাইরা আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি তাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে মাফ চাই। তার ভয়ে বর্তমানে সেই ব্যবসায়ী স্বপরিবারে রাতের আধারে নতুন মহল্লায় ছেড়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর সাদরিল বলেন, কে এই মিলন আমি তা চিনতে পারছিনা। আমার ও আমাদের পরিবারের নাম ব্যানার বিক্রি করে অনেকেই বিভিন্ন অপরাধ করছে। অথচ এসব বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।

এছাড়াও যারা ভুক্তভোগী তারা কেনো আমাদের এসব বিষয় জানায়না তাও বোধগম্য নয়। আমরা সকলকে বলে রেখেছি কেউ যদি আমার নামে এসব অপকর্ম করে তাদেরকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে। তারা এসব করে আর আমাদের বদনাম হয়।   

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর আলম বলেন, বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজির কথা শুনলেও এসব বিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ অপর ধ ব যবস য় র পর ব আম দ র ফ টপ ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

 সাদরিলের ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে শিমরাইলের মোড়ে মিলনের চাঁদাবাজি 

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান।

এই সকল দোকানের পজিশন বিক্রি করে দৈনিক তোলা হচ্ছে চাঁদা। তবে আইনশৃংখলাবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে চাঁদাবাজির কৌশল পাল্টিয়েছে চাঁদাবাজরা। তারা মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা নিচ্ছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিলন।

সে নাসিক ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা তুলছে ফুটপাতের এই সকল দোকান থেকে। শুধু তাই নয়, শিমরাইল মোড়ের পরিবহন সেক্টর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা নিচ্ছে সে। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সরকারি জায়গায় পজিশন বিক্রি ও অর্ধশতাধিক দোকান ভাড়া দিয়ে অফেরৎযোগ অগ্রিম বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চাঁদাবাজ মিলন। এছাড়া ওই দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া বাবদ উত্তলন করছে।

যা মাসে গিয়ে দাড়ায় সাড়ে তিন লাখেরও বেশি। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহল ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে চরম ক্ষোভ।

সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের সাথে বিভিন্ন ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার ঘনিষ্ঠজন বলে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে মিলন। ফলে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ, এমনকি কেউ-ই থানা পুলিশের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেনা।  

অনুসন্ধানে জানা যায়, শিমরাইল কাসসাফ-২ মার্কেটের সামনে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গায় হকার মার্কেট বানিয়ে দোকান বসিয়ে দৈনিক চাঁদা আদায় করছে মিলন।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গায় সিএন্ডবির টোল গেইট ঘেষে ৫টি চা, শরবত ও খাবারের দোকান। মিনার মসজিদের সামনে রয়েছে ১টি বিরিয়ানীর দোকান।

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিলন দোকান বসানোর পরে হুমকি প্রদান করে দোকানদারকে বলে যদি আমার নাম বলিস তাহলে তোর নামে মামলা ফ্রী, সাথে মাইর ও জরিমানা থাকবে।

চিটাগাং রোড এর ফুটপাতের এক দোকানি বলেন, সব চাইতে বড় ভুল করেছি তার (ফিটিং মিলন) মাধ্যমে এখানে দোকান বসিয়ে। মাঝে মধ্যে এসে বলে ২০০ টাকা দে বলে নিয়ে যায়, আবার ২০০ টাকা চাঁদাও দিতে হয়।  নিজে কি খামু আর পরিবারকে কি খাওয়ামু সব শেষ।

প্রতিদিন কে চাঁদা নেয় জানতে চাইলে বলে, আগে আক্তার ও রনি আইস্যা নিত, এখন একেক দিন একেক জন আইস্যা ফোন ধরাই দেয় আর ট্যাকা নিয়ে যায়। টাকা পরে দিতে চাইলে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইলে।

এদিকে মিলনের কাছ থেকে সরকারি জায়গা কিনে বহু ব্যবসায়ী নি:স্ব হয়েছে। এই চাঁদাবাজদের কাছ থেকে বসার পজিশন কিনার পর উচ্ছেদের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রহস্থ হয়েছেন বহু ব্যবসায়ী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ফুটপাত ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পজিশন কিনার সময় সব কিছু দেখভাল করবে বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এখানে বসায় কে জানি আবার কবে উচ্ছেদ করে ফেলে। 

এরকম ঘটনা কিছুদিন আগে হয়েছিল তখন মিলনের কাছ থেকে এডভান্সের টাকা ফেরত চাইলেও দেয়নি বরং সে আমাদের হুমকি প্রদান করেছে। সে বলে আমি কাউন্সিলর সাদরিলের লোক এখানে ব্যবসা করতে হলে আমাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে।

জানা যায়, মিলন নিজেকে শিমরাইলের মুন্সি বাড়ির আলমাস মুন্সির ছেলে পরিচয় দিলেও ভোটার আইডি কার্ডে পাওয়া যায় পিতার পরিচয় অন্য। জাতীয় পরিচয় পত্রে তার পিতার নাম রয়েছে মো. খোরশেদ আলম।

তাকে মিলন হিসেবে চিনলেও বিভিন্ন ছদ্দ নাম আছে তার।  মিলন ওরফে মাসুদ রানা ভোটার আইডি কার্ডের পরিবর্তন করেছে তার পরিচয় গোপন রাখার জন্য। বিভিন্ন অপকর্মে নিজেকে আড়াল করার নতুন কৌশল বলে জানা যায়।

সাবেক কাউন্সিলর সাদরিলের সাথে বেশ সখ্যতার কারণে এখন নিজেকে বিএনপির নেতা বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে এই চাঁদাবাজ। সাদরিলের পরিচয় বহন করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে চাঁদাবাজ মিলনের বিরুদ্ধে।

সাধারণ লোকদের নানা কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা ধার দেওয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  পাইনাদি নতুন মহল্লার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে টাকা ধার দেওয়ার নাম করে পরে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জোরপূর্বক ২৫% সুদসহ ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে এককালীন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সেলিম নামে এক ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ি জানান, আমি দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হওয়ার চেষ্টা করেছি কেন তার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলাম।  মিলন এসে বলে আমার ব্যবসার কি অবস্থা তো আমি বলি ভাই আরো কিছু টাকা হলে ভালো হতো।

সে আমাকে ২ লাখ টাকা ধার দিলে বললো ৪ মাসের মধ্যে ফেরত দিলেই হবে। পরে সে ১৪ দিন পরে কয় কিস্তির টেকা দাও, অনেক জমতাছে।

আমি কইলাম মুল টাকা দিয়া দিমু পরে ১ মাসের মধ্যে টাকা শোধ কইরা দেই। কিন্ত ছোট ছোট পোলাপাইন দিয়ে আমারে মাইরা আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি তাকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে মাফ চাই। তার ভয়ে বর্তমানে সেই ব্যবসায়ী স্বপরিবারে রাতের আধারে নতুন মহল্লায় ছেড়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর সাদরিল বলেন, কে এই মিলন আমি তা চিনতে পারছিনা। আমার ও আমাদের পরিবারের নাম ব্যানার বিক্রি করে অনেকেই বিভিন্ন অপরাধ করছে। অথচ এসব বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।

এছাড়াও যারা ভুক্তভোগী তারা কেনো আমাদের এসব বিষয় জানায়না তাও বোধগম্য নয়। আমরা সকলকে বলে রেখেছি কেউ যদি আমার নামে এসব অপকর্ম করে তাদেরকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে। তারা এসব করে আর আমাদের বদনাম হয়।   

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর আলম বলেন, বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজির কথা শুনলেও এসব বিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ