Prothomalo:
2025-11-17@17:46:01 GMT

এক দিনে পড়া যায় এমন পাঁচ বই

Published: 17th, November 2025 GMT

আজকাল অনেকের বড় উপন্যাস পড়ার ধৈর্য কমে গেছে। আবার কারও কারও হাতে সময় কম। এ ধরনের পাঠকের জন্য ভালো উপায় হলো ছোট আকারের গল্প বা নভেলা। যেগুলো এক বসাতেই শেষ করা যায়। এই ছোট বইগুলো ব্যস্ত জীবনে হতে পারে দারুণ সঙ্গী।

২০০ পৃষ্ঠার কম এই বইগুলো কেবল সময় কম নেবে না, বরং গুডরিডস রিডিং চ্যালেঞ্জ পূরণেও সাহায্য করবে। কোনো এক ছুটির দিনে সহজেই পড়ে শেষ করা যাবে এই পাঁচটি বই।

ক্লেয়ার কিগানের ‘স্মল থিংস লাইক দিজ’

১৯৮০ দশকের আয়ারল্যান্ডের গল্প। একজন বাবাকে কেন্দ্র করে কাহিনি। তিনি কয়লা ও কাঠের ব্যবসা করেন। বড়দিনের আগে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। একদিন স্থানীয় গির্জায় কয়লার ঘরে এক অনাহারী তরুণীর সন্ধান পান। এরপর সেখানকার নানদের আচরণে তাঁর মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। তাঁর সন্দেহ, সেখানে আরও অনেকে আছেন, যাঁরা গির্জার মধ্যে নির্যাতিত। ১২৮ পৃষ্ঠায় ক্লেয়ার কিগান মানবিকতার মর্মস্পর্শী এক ছবি এঁকেছেন।

ভিনসেঞ্জো ল্যাট্রোনিকোর ‘পারফেকশন’

ইতালীয় লেখক ভিনসেঞ্জো ল্যাট্রোনিকোর হাস্যরসাত্মক গল্পে দেখা যায়, বার্লিনে থাকা দম্পতি আনা ও টমকে। তাঁদের বিলাসী জীবনযাপন। অথচ কোথাও যেন ক্লান্তি লুকিয়ে আছে। অর্থ, সৌন্দর্য, সাফল্য সবই আছে, কিন্তু সুখ কোথায়? ১২০ পৃষ্ঠার বইটিতে আছে আধুনিক শহুরে জীবনের তীক্ষ্ণ সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।

সাউ ইচিকাওয়ার ‘হাঞ্চব্যাক’

গল্পের প্রধান চরিত্র শাকা। এই তরুণী কঠিন অসুখে আক্রান্ত। তাই ধনী পরিবারের সন্তান হলেও কেয়ারসেন্টারে সীমাবদ্ধ জীবন। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কেবল অনলাইনে ডিগ্রি নেওয়া ও বেনামি ইরোটিক গল্প লেখা তাঁর একমাত্র সঙ্গী। এক পুরুষ কেয়ারটেকার তাঁর এই গোপন পরিচয় আবিষ্কার করেন, তখন গল্প ঘুরে যায়। ১১২ পৃষ্ঠার বইটি গভীর, সাহসী ও আবেগময় এক উপন্যাস।

এক দিনে পড়া যায় এমন পাঁচ বই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির

‘জাতীয় নিরাপত্তার’ স্বার্থে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)।

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিএসএ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে দেশে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে। প্রচারিত এসব বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার পাশাপাশি সরাসরি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সৃষ্টির আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের ‌বক্তব্য প্রচার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর নিয়মাবলির পরিপন্থী। বিশেষত, অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন তথ্য, যেগুলো দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, জাতিগত বা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা সহিংসতার আহ্বান জানায়, সেসব তথ্য অপসারণ বা ব্লক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

এনসিএসএ আরও বলেছে, আরও স্পষ্টভাবে, অধ্যাদেশের ধারা ২৬(১) অনুযায়ী, ছদ্ম পরিচয় বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে যদি কেউ ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনাকারী বক্তব্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তা অপরাধ এবং দণ্ডনীয়। ধারা ২৬(২) অনুযায়ী, অপরাধীদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিএসএ সাংবাদিকতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তাই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা, অপরাধমূলক, উসকানিমূলক বা আহ্বানমূলক যেকোনো বিবৃতি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে এবং আইনি দায়বদ্ধতা বিবেচনায় রাখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ