বিশ্ব জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূল দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ সোমবার নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি)। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল র‌্যালি, সচেতনতা অলিম্পিয়াড, ক্যানসারজয়ীর অভিজ্ঞতা শোনানো, আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে ৮ হাজার ২৬৮ নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এই রোগে বাংলাদেশেই সর্বাধিক নারী মারা যান। ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী নারীদের ক্যানসারের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

আজ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আদর্শ বিদ্যানিকেতনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সূচনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। তারা টিল রঙের টি-শার্ট ও সাদা ক্যাপ পরিধান করে জরায়ুমুখ ক্যানসারবিষয়ক প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম, আইদেশির সহকারী বিজ্ঞানী ডা.

কাসরিনা আজাদ এবং আইদেশির প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুর রহমান। বক্তারা বলেন, চিকিৎসার ব্যয় ও জটিলতা বিবেচনায় সচেতনতা, টিকা, স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে আগেভাগে শনাক্তকরণই জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

সরকারি কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ও ১০ বছরের কিশোরীরা বিনা মূল্যে টিকা পাচ্ছে। দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিআইএ পরীক্ষা বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। সময়মতো শনাক্ত হলে অপারেশন, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শিশুদের হাসি, উচ্ছ্বাস ও সক্রিয় অংশগ্রহণ পুরো অনুষ্ঠানে বিশেষ উদ্দীপনা যোগ করে। আয়োজকেরা বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশ জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে। এই শিশুরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আর তাদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখতেই জরায়ুমুখ ক্যানসারমুক্ত দেশ গড়ার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন আইদ শ

এছাড়াও পড়ুন:

ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল: ট্রফি নিয়ে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ফুটবল–উৎসব

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত ‘ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’–এর ট্রফি ট্যুর শেষ হলো আজ। ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামে শুরু হয় এই ট্রফি ট্যুর। পরপর দুই দিনে চট্টগ্রামের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ট্রফি ঢাকায় আসে ১৫ নভেম্বর। ঢাকায় টানা তিন দিনব্যাপী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রফি ট্যুর শেষ হয় আজ।

আরও পড়ুনটাইব্রেকারের ‘কালো জাদু’র অভিযোগ নাইজেরিয়ার, বিশ্বকাপ–স্বপ্ন ভেঙে চুরমার৩৭ মিনিট আগে

এ উদ্যোগে সাড়া পড়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ট্রফির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে প্রতিটি ক্যাম্পাসই কিছু সময়ের জন্য পরিণত হয় ফুটবল–উৎসবের মঞ্চে।

বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলো ট্রফি ট্যুরের একটি মুহূর্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ