রাজধানীর উত্তরায় আজ সোমবার বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোবাসটি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের ভাই নাদিম হাসানের।

তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ২১ নম্বর রোডে নাদিম হাসানের বাড়ির সামনে রাখা একটি মাইক্রোবাসে কে বা কারা আগুন দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় লোকজন আগুন নেভান। তবে এর আগেই মাইক্রোবাসটি পুড়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ২১ নম্বর রোডে একই সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে হাবিব হাসান ও নাদিম হাসানের দুটি ভবন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ওই ভবন দুটি ছেড়ে পালিয়ে যান। আজ নাদিম হাসানের বাড়ির বাইরে মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়ার পর চারদিকে কালো ধোঁয়ায় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মুহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষুব্ধ একদল তরুণ-যুবক হাবিব হাসান ও নাদিম হাসানের বাড়িতে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। তাঁরা সেখান থেকে যাওয়ার সময় নাদিম হাসানের ভবনের সামনে রাখা তাঁর মাইক্রোবাসটিতে আগুন দেন। মাইক্রোবাসটি নষ্ট ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ ন দ

এছাড়াও পড়ুন:

আইজিপি মামুনের রায় পুনরায় বিবেচনা করার দাবি জুলাই ঐক্যের

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা তার সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালে দেশে এনে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। একইসঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের রায় রিভিউয়ের আবেদন জানিয়েছে তারা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে হাসিনার রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় জুলাই ঐক্যের নেতারা। 

আরো পড়ুন:

‘জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা সংস্কারের বিকল্প নেই’

ঢাবি উপাচার্যের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি, পাঠানো হচ্ছে রিকুয়েস্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজ সেবা সম্পাদক ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, “আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা লজ্জিত এটা দেখে যে, আমার ভাইদের ওপর ৩২ নাম্বারে হামলা করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের রক্তাক্ত করা হচ্ছে। অভিলম্বে প্রশাসনের এ নেক্কার জনক হামলা বন্ধ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “যারা ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যখন লীগের সন্ত্রাসীরা অগ্নিসন্ত্রাস করে, তখন সবাই চুপ। কাউকে গ্রেপ্তার দূরের কথা, সামনেও আসে না। অথচ আজ যখন আওয়ামী লীগের কেবলা ৩২ নাম্বারের দিকে ছাত্র জনতা যেতে চাইল, তখন শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি অবিলম্বে ছাত্র জনতার ওপর হামলা বন্ধ করুন।”

তিনি আরো বলেন, “সরকার হাসিনার ফাঁসি দিলেও পরিকল্পিতভাবে সাবেক পুলিশ প্রধানকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছে। আমরা মামুনের রায়কে পুনরায় রিভিউ করার দাবি জানাচ্ছি। মামুনকে কেন রাজসাক্ষী করা হয়েছে, আমরা জানি না। এখানে একজন কনস্টেবলকে রাজসাক্ষী করা যেত, যারা মামুনের নির্দেশনায় ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল পরিকল্পিতভাবে মামুনকে রাজসাক্ষী করে মাত্র ৫ বছরের সাজা দিয়েছে।”

জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও সাংবাদিক নেতা ইসরাফিল ফরাজী বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কিছু কিছু গণমাধ্যম আসল রূপে ফিরে আসছে। ইত্তেফাক দীর্ঘ সময় ফ্যাসিবাদের সঙ্গে ছিল, তার সব অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিল। সেই ইত্তেফাক খুনি হাসিনার বয়ান প্রচার করছে। অথচ সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল খুনি হাসিনার বক্তব্য প্রচারের জন্য। তার সঙ্গে আরটিভি, বাংলাদেশ জার্নালসহ আরো বেশ কিছু গণমাধ্যম এ বক্তব্য প্রচার করছে। অভিলম্বে এ সব গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রজনতা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবং ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জুলাই ঐক্যের সংগঠক কবি বোরহান মাহমুদ, মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মোজাহিদ), মাসুদুর রহমান, মুস্তফা হোসাইন, সাদীল আহমেদ প্রমুখ। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে শাহবাগে হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি ও মিষ্টি বিতরণ করে জুলাই ঐক্য ও জাগ্রত জুলাই।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ