রাতের আকাশ মানেই বিস্ময়। সেই বিস্ময় বাড়াতে আজ বাংলাদেশে রাতের আকাশে চোখ রাখলে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। আকাশপ্রেমীরা আজ মধ্যরাতে এক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবেন। টাইম অ্যান্ড ডেট ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, আজ ঢাকার আকাশে রাত ১১.৩৬ মিনিট থেকে রাত ১টা ০২ মিনিট পর্যন্ত এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে।

আমেরিকান মেটিওর সোসাইটির ফায়ারবল রিপোর্ট সমন্বয়কারী রবার্ট লান্সফোর্ড বলেন, অন্যান্য উল্কাবৃষ্টির তুলনায় লিওনিড ভালোভাবে দেখা যাবে। ভালোভাবে দেখার সময় এখনই। লিওনিড উল্কাবৃষ্টির মূল ধূমকেতুর নাম ৫৫পি/টেমপেল-টাটল। এই ধূমকেতুর জন্যই উল্কাবৃষ্টির সময়কাল হয় খুব সংক্ষিপ্ত। ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের পথটি আকারে ছোট হওয়ায় পৃথিবী খুব অল্প সময়ের জন্য তার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে।

আমেরিকান মেটিওর সোসাইটির রবার্ট লান্সফোর্ড জানান, আজ যে উল্কা দেখা যাবে, তাকে আর্থ গ্রেজার বলা হয়। এর অর্থ হলো, উল্কাবৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে। আকাশের একটি বড় অংশজুড়ে এটি দৃশ্যমান হবে। যদিও খুব বেশি সময় দেখা যাবে না। লিওনিড উল্কাবৃষ্টির সব কার্যকলাপ বেশির ভাগই দিগন্তের নিচে থাকে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে, প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫টি উল্কা দেখার আশা করা যেতে পারে।

লিওনিড উল্কাবৃষ্টি কখনো কখনো বিশাল উল্কাঝড় তৈরি করার জন্য সুপরিচিত। উল্কাঝড়ের সময় প্রতি ঘণ্টায় অন্তত এক হাজার উল্কা দেখা যায়। সর্বশেষ লিওনিড উল্কাঝড় হয়েছিল ২০০২ সালে। সবচেয়ে স্মরণীয় ঝড় দেখা যায় ১৯৬৬ সালে। সে সময় পৃথিবী লিওনিড স্রোতের ঠিক কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করেছিল। তখন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪০টি উল্কাপাত হয়। সেই ঝড়ের সময় আকাশে এত বেশি উল্কার কার্যকলাপ দেখা যায়, তখন মনে হচ্ছিল যেন আকাশ থেকে বৃষ্টি নামছে।

রবার্ট লান্সফোর্ড জানান, পরবর্তী উল্কাবৃষ্টি ধূমকেতুর কক্ষপথের চক্রের সঙ্গে মিলে যাবে। সেটা ঘটবে ২০৩৩ সালে। ধূমকেতু ৫৫পি যখন কক্ষপথে সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে বা পেরিহিলিয়নে পৌঁছায়, তখন উল্কার কার্যকলাপ অনেক বেড়ে যায়। ধূমকেতু একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ৩৩ বছর সময় নেয়। এ কারণে বড় লিওনিড উল্কাবৃষ্টি বা উল্কাঝড় প্রায় ৩৩ বছর অন্তর ঘটে। ঝড় হওয়ার জন্য পৃথিবীকে পেরিহিলিয়নের সময় ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষের ঘন অংশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সূত্র: সিএনএন

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উল ক ব ষ ট র র জন য র সময

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ঘটনা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ের যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, ভারত সেটি লক্ষ্য করেছে।” খবর বিবিসির।

আরো পড়ুন:

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

“একজন কাছের প্রতিবেশি হিসেবে, বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় ভারত কাজ করবে। এ লক্ষ্য আমরা সবসময়, সব ধরনের অংশীদারের সঙ্গে কাজ করে যাব।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ