মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। রায় ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা উল্লাস প্রকাশ করেন এবং পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চল) শওকত আলী বলেন, আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাই। খুনি হাসিনার নির্দেশে ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ভূমিকার কারণে প্রায় ১৪০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। আজ আদালত ন্যায়বিচার করেছে।

শওকত আলী আরও বলেন, আগামী দিনে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন, তাদের জন্যও এটি শিক্ষা হওয়া উচিত—জনগণের বিপক্ষে গেলে জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইতিহাস যেন আর কখনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনু, জেলা সংগঠক সোনিয়া আক্তার (লুবনা), ফজলে রাব্বি, রাইসুল ইসলাম, ফারদিন শেখ ও আবুল খায়ের প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব তরণ এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

এ বছর লতিফুর রহমান পুরস্কার পেলেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন

প্রথম আলোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্টার লিমিটেড ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নামে চালু করা বর্ষসেরা সাংবাদিকতার পুরস্কার এ বছর পেয়েছেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন।

প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর পাঁচ তারকা র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সাংবাদিক শওকত হোসেনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। নানা শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনদের নিয়ে চলছে এই অনুষ্ঠান। সেখানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। শওকত হোসেনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্টার লিমিটেড ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান এবং প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সাল থেকে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নামে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এবার নিয়ে পঞ্চমবার এই পুরস্কার দেওয়া হলো। প্রথমবার এই পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম। দ্বিতীয়বার প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, তৃতীয়বার প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল এবং গত বছর প্রথম আলোর উপসম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া এ পুরস্কার পেয়েছিলেন।

এ বছর পুরস্কারজয়ী শওকত হোসেন ২০০৪ সাল থেকে প্রথম আলোতে কর্মরত। অর্থনীতিবিষয়ক স্বনামধন্য রিপোর্টার ও কলামিস্ট শওকত হোসেন এখন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম আলোর বার্তাকক্ষের ডিজিটাল রূপান্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এসব কারণে তিনি এবার এই পুরস্কার পেলেন। এর আগে তিনি প্রথম আলোয় বাণিজ্য সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, হেড অব রিপোর্টিংসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

শওকত হোসেন পুরস্কার পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার ৩২ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে ২১ বছরের বেশি সময় কাটছে প্রথম আলোয়। এই লম্বা সময়ের মধ্যে আজকেই আমি সবচেয়ে বেশি সম্মানিত বোধ করছি লতিফুর রহমান বর্ষসেরা সাংবাদিকতার পুরস্কার পেয়ে। অনেক শ্রদ্ধা প্রয়াত চেয়ারম্যানের প্রতি, ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের পরিচালনা বোর্ডকে।’

স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরিতে লতিফুর রহমানের অবদান তুলে ধরে শওকত হোসেন বলেন, ‘আর প্রথম আলোর সম্পাদক স্বাধীন, সৎ ও সুসাংবাদিকতার চর্চা করতে প্রতিনিয়তই শিখিয়ে যাচ্ছেন। আমার ও আমাদের অনেক সৌভাগ্য যে মতি ভাইয়ের (প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান) মতো একজন সম্পাদকের নেতৃত্বে কাজ করতে পারছি।’

সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়ে শওকত হোসেন বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে থেকে আরও ভালো সাংবাদিকতা করে যেতে হবে, আজকের পুরস্কার আমাকে এই অনুপ্রেরণাই দিচ্ছে। স্বাধীন ও সৎ সাংবাদিকতা সহজ নয়। ধরনও প্রতিনিয়ত বদল হচ্ছে। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা সবাই এগিয়ে যাব, পুরস্কার হাতে নিয়ে এই প্রত্যয়ের কথাই জানালাম।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ বছর লতিফুর রহমান পুরস্কার পেলেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন