হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: সাভারে বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ
Published: 17th, November 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করার পর ঢাকার ধামরাইয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মিছিল করেন তারা। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ
শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘আমরা মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এ বিচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সেই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যে ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য আমরা ১৫-১৬ বছর অপেক্ষা করেছি। আমরা শুধু এ রায়েই ক্ষান্ত হবো না।’’ অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি।
পরে তারা সাধারণ জনগণের কাছে মিষ্টি বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাসুদ আল শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমান আলী, ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এতে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে গরু চুরি: গণপিটুনে আহত আরেকজনের মৃত্যু
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় গরু চুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে আহত বিপ্লব সরকারের মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবশিষ্টি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় মা-ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল মৃত্যুর তথ্য জানান। নিহত বিপ্লব নেত্রকোণার খালিয়াজুরী থানার পাথড়া গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে।
গত ১১ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে আট সদস্যের চোর দল মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের ঝিল্লু কাজীর বাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী ও একটি বাছুর চুরি করে ট্রাকে নিয়ে পালানোর সময় পাশের হাজীবাগ গ্রামে জনতার হাতে ধরা পড়ে। তখন জনতা তাদের গণপিটুনি দিলে মুকসুদপুর উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যায়। বিপ্লব সরকারসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় ১২ নভেম্বর নিহত শামীম মিয়ার মা মেহেরুন নেছা বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় মামলা করেন।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, গণপিটুনির মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/বাদল/বকুল