স্বাধীনতার পরের ৫৪ বছরে এবং ছয়টি বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের (১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০৭ ও ২০২৪) পরেও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌল চরিত্র ‘গণপ্রজাতন্ত্র’ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বরং এই রাষ্ট্র ক্রমেই একটি অভিজাততন্ত্ররূপে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এ পরিচয়ে রাষ্ট্রকাঠামো শক্তিশালী হয়েছে, হচ্ছে এবং হয়তো ভবিষ্যতেও হতে থাকবে।

অভিজাততন্ত্রের রূপ একেক দেশে একেক রকম। বাংলাদেশে অভিজাততন্ত্রে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক অভিজাত পরিবার, বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠান, চিহ্নিত আমলা, আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কয়েকজন সদস্য, বিদেশি প্রভাবশালী গোষ্ঠী ইত্যাদি। দশকের পর দশক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকাকালে অভিজাততন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে। পাশ্চাত্যের মূল্যবোধকেন্দ্রিক অভিজাত শ্রেণি বাংলাদেশে স্বার্থকেন্দ্রিক অভিজাত শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে।

ক্ষমতার আসল উৎস কোথায়

প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার উৎস জনগণ—এ কথা সংবিধানে বলা হলেও বাংলাদেশে সব ক্ষমতার উৎস কয়েকটি অভিজাত গোষ্ঠী। এই শ্রেণির অবস্থান সরকারে, সরকারের বাইরে, প্রশাসনে, সিভিল সোসাইটিতে, দেশের বাইরে বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীতে। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে ও সরকারের বাইরে বিরোধী পক্ষ হিসেবে যাদের দায়িত্ব পালন করার কথা, বেসরকারি খাত হিসেবে যাদের প্রতিনিধিত্ব করার কথা, তারা প্রকৃত অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। বরং জনগণের নামে নিজের এবং অন্য কারও স্বার্থ রক্ষায় এরা ব্যস্ত। ফলে জনসাধারণ প্রতিনিয়ত বঞ্চিত, প্রতারিত হচ্ছে।

বঞ্চিত ও প্রতারিত জনগণের এমন অবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উপায় সীমিত। রাষ্ট্রের দুর্বল অর্থনৈতিক ভিত্তি, দুর্বল মূল্যবোধ, দুর্বল নীতি, আইনের শাসনের অভাব, কালোটাকা ও পেশিশক্তির দাপটে সব সরকারের সময়েই জনগণ অভিজাততন্ত্রের বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। সরকারপ্রধান জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও মূলত অভিজাত শ্রেণির হয়েই কাজ করেন। তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ, আমলা, পদধারী ও সুবিধাভোগী সবাই নির্ধারিত হন। ফলে জনগণের সর্বময় ক্ষমতা নির্ধারিত হয় সরকারপ্রধান দ্বারা, তাঁর মর্জিমাফিক।

জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আছে অভিজাততন্ত্রের বাইরে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জনগণ র সরক র ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

একটি দল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস

একটি দলকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন,“বিএনপির ষড়যন্ত্রের কোনো ইতিহাস নাই, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো ইতিহাস নাই।”

দলটির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “একটি দল, যারা ধর্মের নামে ব্যবসা করে, বেহেস্তের টিকিট দেয়, তারা বলছে একটি বৃহৎ দল এই দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি তার জায়গায় বলতে চাই, আপনারা যারা এই কথা বলছেন, আপনারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন।”

আরো পড়ুন:

নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে: ফখরুল

বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, “এই দেশের স্বাধীনতা বিএনপি নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবের নেতৃত্ব হয়েছিল। আজকে ৭ নভেম্বর, আপনারা দিনটিকে অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন, এই দিন নিয়ে কোনো কথা বলছেন না-বলছেন একটি বৃহত্তর দল ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের কোনো ইতিহাস নাই। পেছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো ইতিহাস নাই, বরং আপনারা বারবার চেষ্টা করেছেন ১৯৪৭ সাল থেকে। সেই সময় স্বাধীনতা আন্দোলন আপনারা করেন নাই, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। একাত্তর সালে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। এখনো জনগণের বিরুদ্ধে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।”

তিনি বলেন, “বিএনপি কিছু দিন যাবত খুব শান্ত, সভ্য, ভদ্র হিসেবে...আমরা বলেছিলাম এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করব। আমরা বরাবর সহযোগিতা করে যাচ্ছি।” 

“আপনারা যদি আমাদের এই নম্রতাকে, এই ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভেবে থাকেন, বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। বিএনপি যদি মাঠে নামে আপনাদেরকে ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে এই বিএনপি নেতা বলেন, “অনেকে লম্বা লম্বা কথা বলেছে সনদ নিয়ে। আমরা বারবার এটাকে মানতে চেয়েছি, কিন্তু আপনারা একটা না একটা খুঁত ধরছেন এবং এটা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এই সমস্ত অপকর্ম বাদ দেন। বিগত দিনের ইতিহাস দেখে নেন, আপনারা ক্ষমা চান। এখনো সময় আছে, জাতিকে আর বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণভোটকে নির্বাচনের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, অভিযোগ তাহেরের
  • বন্দরে এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ-এর গণসংযোগ 
  • ‘জামায়াতের রাজনীতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের নীতির কারণে’
  • একটি দল দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস
  • জামায়াতের কেউ এমপি হলে সরকারি প্লট ও বিনা ট্যাক্সের গাড়ি নেবেন না : শফিকুর রহমান
  • চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে চাই: নাসীরুদ্দীন
  • এনসিপির প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
  • প্রয়োজনে প্রথম আলোর সম্পাদককে মনোনয়ন দেবে এনসিপি: নাসীরুদ্দীন
  • নির্বাচন দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা–বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে: জামায়াতের আমির