রায়ে ন্যায়বিচার হয়েছে, স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন
Published: 17th, November 2025 GMT
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়েছে, দেশে স্বৈরতন্ত্র রোধে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাইলটের ভুলে মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন
মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, “এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়েছে, মজলুম জনতার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এই রায় আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে জনতার ওপরে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদ অনেক বিস্তৃত অপরাধচক্র গড়ে তুলেছিল। সেই চক্রের প্রধান সম্পর্কে একটি মামলার রায় হলো। পর্যায়ক্রমে সব অপরাধীকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শহীদ পরিবার ও আহতদের প্রতি আমাদের সন্মান ও বেদনা আবারো ব্যক্ত করছি।”
তিনি আরো বলেন, “আইন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি। আইনের নিজস্ব গতি ও ধারাতেই সব অপরাধের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করবো, রায় ঘোষিত হওয়ার পরে এখন আবশ্যকীয় সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুততার সঙ্গে রায় বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মহাসচিব বলেন, “আজকের দিন আমাদের জন্য আনন্দের। এই দিনে আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করব। দেশবাসী কাউকে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেও দেবে না এবং আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো কোনো কাজ কেউ করবেন না।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে 'মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' পুনর্বহাল করা হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় 'মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' সংবিধানের প্রস্তাবনা ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ছিল। সেটা পরবর্তীতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারলে সেটি সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কওম হিসেবে, মুসলমান হিসেবে বিভক্তি এবং দুর্বলতার কারণে ফিলিস্তিনের গাজাবাসী, আরাকানের রোহিঙ্গাসহ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হতে হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'ইনশাআল্লাহ, যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়, সরকার পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দেয়, এ দেশের জনগণ যদি আমাদের মহব্বত করে দায়িত্ব দেয়, যদি আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন, মঞ্চে উপবিষ্ট যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পীরে কামেল, হজরত, ওলামায়ে কেরাম, আমাদের দেশের বুজুর্গানে দ্বীন যারা আমাদের পরিচালিত করেন, সবাই যদি আপনারা সহযোগিতা করেন, একসাথে থাকেন, তাহলে আপনাদের এখানে আজকে যে সমস্ত দাবি-দাওয়া আছে, আমরা সকল দাবি-দাওয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ইনশাআল্লাহ কানুনি ব্যবস্থা...’
তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই মঞ্চ থেকে অনেকে এবং সামনে উপবিষ্টরা সালাহউদ্দিন আহমদকে নিজ মুখে কাদিয়ানিদের কাফির ঘোষণার দাবি তুলে হইচই শুরু করেন।
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন। আজ শনিবার দুপুরে