কুষ্টিয়ার ডিসির সরকারি মুঠোফোন নম্বর হ্যাকড, চাওয়া হচ্ছে টাকা
Published: 17th, November 2025 GMT
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সরকারি মুঠোফোন নম্বর হ্যাক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার রাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ওই মুঠোফোন নম্বরে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। বার্তা পাওয়া এক ব্যক্তি টাকা চাওয়ার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও করেছেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, ইতিমধ্যে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে রাতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। ‘কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন’ নামে এক ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দাপ্তরিক মুঠোফোন/হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। দাপ্তরিক নম্বরটি থেকে বিভ্রান্তিকর ফোনকল বা মেসেজের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ওই ফোন নম্বরটি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ব্যবহার করে থাকেন। গত শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক বদলি হয়ে হবিগঞ্জ জেলায় চলে যান। যাওয়ার আগে তিনি কুষ্টিয়া স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আহমেদ মাহবুব উল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তিনিই বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক। তাঁর কাছেই সরকারি মুঠোফোন নম্বরটি রয়েছে। আজ সোমবার রাতে নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক ইকবাল হোসেনের যোগদান করার কথা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের সরকারি নম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘২৫ হাজার টাকা পাঠাবেন’ বা অনুরূপ অর্থের দাবি জানানো হচ্ছে। প্রতারক চক্রটি হ্যাক হওয়া নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএসে যোগাযোগ করে বিকাশ বা অন্য মুঠোফোনে অর্থ পাঠানোর জন্য বলছে।
ওই মুঠোফোন নম্বর থেকে এ রকম খুদে বার্তা (মেসেজ) পাওয়া একজন হলেন দৈনিক কুষ্টিয়ার সম্পাদক আমানুর আমান। তিনি জানান, তাঁর কাছে মেসেজ পাঠানো হয়েছে, সেখানে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন রাতেই। একই মেসেজ পাঠানো হয়েছে আজকের পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবাশীষ দত্তের কাছেও। আরও অনেকের কাছে একই মেসেজ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি জেলা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দরে রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ
পাঁচ দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে আসা রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘গ্রিমিয়াশ্চি’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান।
এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে। রুশ জাহাজকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার মিলিটারি অ্যাটাশেসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রুশ জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা ওমর ফারুক’ তাদের অভ্যর্থনা জানায়।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে সফরকারী জাহাজের অধিনায়ক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার মিলিটারি অ্যাটাশেসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ড এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে অবস্থিত রেডকিন পয়েন্টে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং নৌবাহিনীর জাহাজ, ঘাঁটি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত বিএন আশার আলো স্কুল, চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরাও রাশিয়ান জাহাজ পরিদর্শন করবেন।
এই সফরের ফলে দুই দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা পারস্পরিক কার্যক্রম ও পেশাগত উৎকর্ষ প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে পেশাগত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
শুভেচ্ছা সফরের মাধ্যমে দুই দেশের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের পেশাগত বিষয়ে মতবিনিময়, ভবিষ্যত প্রশিক্ষণ ও পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুভেচ্ছা সফর শেষে রাশিয়ার জাহাজটি আগামী ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। এর আগেও রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসেছিল।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক