আশুলিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসে আগুন
Published: 17th, November 2025 GMT
ঢাকার আশুলিয়ায় সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মিনিবাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে এ নাশকতা করা হয়। আগুনে বাসের ভেতরের আসনগুলো পুড়ে গেছে।
ওই বাসের চালক মো. পিন্টু জানিয়েছেন, গতকাল রবিবার যাত্রী পরিবহন শেষে রাতে আশুলিয়ার বেরন এলাকায় সড়কের পাশে গ্রামীণ পরিবহনের মিনিবাসটি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর ৪টার দিকে চালকের সহকারী বাসটি পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ওয়াশরুমে যান। ভোর পৌনে ৫টার দিকে তিনি ফিরে এসে বাসে আগুন দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
তিনি বলেন, আগুনে সব সিট (আসন) পুইড়া গেছে। এটা ৩২ সিটের গাড়ি। ২ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হইছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশও আসছিল।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/সাব্বির/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আন্দোলন যমুনা থেকে সরে গেছে, কিছুদিন পর গ্রামে নির্বাচনের কাছে দাঁড়াবে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এখনো কেউ জুলাই সনদ স্বাক্ষর করার জন্য আদেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আর কেউ বলছে, আদেশ জারি করে জনগণের অভিপ্রায় পূর্ণ হয়েছে কিন্তু গণভোটের বিষয়ে তাদের কথা আছে।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর: একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের আন্দোলনের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা দেখবেন আর পাঁচ সাত দিন গেলেই ইনিয়ে–বিনিয়ে এই আন্দোলন এখন তো যমুনা থেকে সরে এসেছে আর কিছুদিন পর গ্রামে গিয়ে নির্বাচনের কাছে গিয়ে দাঁড়াবে। গতকাল শুনলাম যে আপাতত আমাদের আন্দোলন আর যমুনায় নেই। তো যাই হোক, এখন হয়তো মন যমুনায় অনেক কিছু চিন্তা করবে কিন্তু শেষমেষ নির্বাচনেই দাঁড়াতে হবে।’
সেমিনারে একটি পক্ষের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গত বছরের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির অর্ডারের মাধ্যমে সংসদ বাতিল করা হলো। তখন একটি পক্ষ জিজ্ঞাসাও করেনি সেখানে শেখ হাসিনার দস্তখত আছে কি না। এখন অনেকে আর্গুমেন্ট করছে, কেউ কেউ হাইকোর্টেও যাচ্ছে যে এই সরকারের পুরোপুরি বৈধতা নেই। তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। বিভিন্ন বাহানায় তারা একটা লিগ্যাল কেওয়াজ সৃষ্টি করবে, যাতে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয় বা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান না হতে পারে অথবা নির্বাচনই না হয়। তাতে তারা ক্ষমতা ভোগ করবে।’
যাদের কথা বলা হচ্ছে, তারা সরকারের কেউ নয় উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারের নিয়ত মনে হয় ঠিক আছে। সরকারের নিয়ত নিয়ে কথা বলার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি। সরকারের ভেতর কারও কারও ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তবে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো কারণে সেটি না হলেও সেই কারণে তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান খান। এতে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ।