অটোরিকশার মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নারীর মৃত্যু
Published: 17th, November 2025 GMT
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় অটোরিকশার মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নাসিমা বেগম (৩২) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকার ডামুড্যা-শরীয়তপুর সদর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নাসিমা বেগম উপজেলার দাইমি চর ভয়রা এলাকার আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ট্রাকচাপায় ইজিবাইক চালক নিহত
সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, নাসিমার ওড়না অটোরিকশার ইলেকট্রিক মোটরে পেঁচিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি।’’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১৬ নভেম্বর) নাসিমার ছেলের আকিকার অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান শেষ করে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ছেলেকে নিয়ে ডামুড্যা দাইমি চর ভয়রা এলাকা থেকে ঢাকার উদ্দেশে অটোরিকশা করে শরীয়তপুর সদরে যাচ্ছিলেন নাসিমা। পথে কুতুবপুর এলাকায় পৌছলে নাসিমার শরীরে থাকা ওড়না অটোরিকশার পিছনের মোটরে পেঁচিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে অটোরিকশার ভিতর পরে থাকে। এমন ঘটনা দেখে নাসিমার নয় বছরের ছেলে আয়ন অজ্ঞান হয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় অন্য যাত্রীরা হতভম্ব হয়ে পড়ে।
ঢাকা/আকাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী