পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রূপপুর গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিন্টু উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযান চলার সময়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চেয়ারম্যান পিন্টু ঘরের সানশেডের ওপরে শুয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। পুলিশের অভিযানের সময় পালানোর চেষ্টা করেও সফল হননি তিনি।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় মিছিলে হামলা-মামলার আসামি হিসেবে চেয়ারম্যান পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবউল-আলম হানিফের ভাগনে পরিচয়ে সর্বশেষ নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে অন্য কাউকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দিয়ে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচিত হন সাউফুজ্জামান পিন্টু। পরে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনে সিন্ডিকেট ও রূপপুর প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় আলোচনায় আসেন তিনি।

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরও পাকশীর চেয়ারম্যান পদে থেকে যান পিন্টু। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে গোপন বৈঠকসহ নানাভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড ২০২৫: তিন বিভাগীয় শহরে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রথমবারের মতো ‌‘হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড-২০২৫’ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।‌ আজ শুক্রবার ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।

মানবাধিকার শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষাটি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন গুম তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামসহ বিশিষ্টজন।

পরীক্ষা শেষে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এইচআরএসএস এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো মানবাধিকার অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদের মতো যারা তরুণ আছেন তারা মানবাধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন হবেন এবং ভবিষ্যতে অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য আরও কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি কোনো না কোনোভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি প্রায়ই উদ্বেগজনক ও সংকটাপন্ন থাকে। বাংলাদেশ সেসব দেশের অন্যতম। এদেশের মানুষ হিসেবে তাই আমাদের কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এদেশের সাধারণ অসহায় মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকার জনসেবামূলক অবকাঠামো তৈরি করে। এখানে উপস্থিত সকলেই এইসকল রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুবিধাভোগী হিসেবে দেশের ট্যাক্স প্রদানকারী জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়িত্ব পালতে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশেষত: যেখানেই মানুষ নিপীড়িত হবে সেখানেই আমাদের দায়িত্ব তাদের জন্য কিছু করার।

মানবাধিকার কর্মী ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল বলেন, আমাদের অলিম্পিয়াড আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি সৃষ্টি করা, অংশগ্রহণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানবাধিকারকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। এই অলিম্পিয়াডের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে মানবাধিকার চর্চায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া। যা ভবিষ্যতে আপনাদেরকে মানবাধিকার রক্ষায় সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ