গত বছরের তীব্র গরম নিশ্চয়ই মনে আছে? এ বছরও তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রতিবছরই বাড়ি, রাস্তা ও কারখানা তৈরির জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। ফলে দেশের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমরা গাছ কাটার পর নতুন গাছ লাগাচ্ছি না। এই প্রশ্ন কি কখনো মনে জেগেছে—কেন লাগাই না?

একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা জরুরি। বন অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে বনভূমি রয়েছে মাত্র ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। প্রয়োজনের তুলনায় ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। এই ঘাটতির কারণে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও খরার মতো দুর্যোগ বাড়ছে। এনজিও ও সরকারি সংস্থাগুলোর উচিত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো। গৃহস্থালি, ছাদ, রাস্তার পাশে ও রেললাইনের ধারে গাছ লাগাতে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।

প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে। তাদেরও উচিত বর্ষা মৌসুমে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া। সবশেষে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী গড়তে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।

বৃক্ষরোপণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বন অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

দেবাশিষ পাল

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার স্মরণকালের ভালো নির্বাচন করতে চায় বলে জানিয়েছেন জ্বালানি মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ভালো নির্বাচন মানে যে ভোটার ভোট দিতে যাবেন, সে ভোট দিতে পারবেন।

শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জ্বালানি উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টার থাকতে পারবেন। সবার সামনে উন্মুক্তভাবে ভোট গণনা করা হবে। যে নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাকেই আমরা স্বাগত জানাব।

তিনি বলেন, আপনারা এমন লোককে নির্বাচিত করবেন যিনি উন্নয়ন প্রকল্পটা সঠিকভাবে ব্যয় করবেন, সঠিক প্রকল্পে ব্যয় করবেন। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। তিনি যেন থাকেন। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারবেন। আশা করি আমরা একটা সফল নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। আমাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটেছে, সেই বাধা কাটিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ অনেকেই। পরে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মাদারগঞ্জ সোলার প্ল্যান পরিদর্শনে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ