গাছ লাগানোর কথা কি ভুলে গেলাম আমরা
Published: 13th, May 2025 GMT
গত বছরের তীব্র গরম নিশ্চয়ই মনে আছে? এ বছরও তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রতিবছরই বাড়ি, রাস্তা ও কারখানা তৈরির জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। ফলে দেশের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমরা গাছ কাটার পর নতুন গাছ লাগাচ্ছি না। এই প্রশ্ন কি কখনো মনে জেগেছে—কেন লাগাই না?
একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা জরুরি। বন অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশে বনভূমি রয়েছে মাত্র ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। প্রয়োজনের তুলনায় ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। এই ঘাটতির কারণে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও খরার মতো দুর্যোগ বাড়ছে। এনজিও ও সরকারি সংস্থাগুলোর উচিত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো। গৃহস্থালি, ছাদ, রাস্তার পাশে ও রেললাইনের ধারে গাছ লাগাতে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।
প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই পরিবেশবাদী সংগঠন রয়েছে। তাদেরও উচিত বর্ষা মৌসুমে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া। সবশেষে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী গড়তে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
বৃক্ষরোপণ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বন অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দেবাশিষ পাল
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।