দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তে ধানখেত থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সেখানে ধান কাটার সময় পড়ে থাকা একটি ড্রোন বাড়িতে নিয়ে যান এক কৃষিশ্রমিক। পরে রাতে বিজিবি ও পুলিশ ওই কৃষিশ্রমিকের কাছ থেকে ড্রোনটি থানায় নিয়ে আসে।

এ সম্পর্কে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘাসুড়িয়া গ্রামের একটি ধানখেতে ড্রোনটি পড়ে ছিল। স্থানীয় এক কৃষিশ্রমিক সেটি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে পাঁচটি ক্যামেরা আছে। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি ভারত থেকে এসেছে। এটি কোথা থেকে এসেছে বা এটি কারা উড়িয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঘাসুড়িয়া গ্রামে সীমান্ত পিলার ২৮৭/২১ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেরাজুল ইসলামের জমিতে একদল কৃষিশ্রমিক বোরো ধান কাটছিলেন। এ সময় প্রফুল্ল টপ্প (৪২) নামের এক কৃষিশ্রমিক ধানখেতে একটি ড্রোন পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সেটি নিয়ে সেখানকার কৃষিশ্রমিকদের মধ্যে অনেক কৌতূহল সৃষ্টি হয়। ধান কাটার কাজ শেষ করে ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান প্রফুল্ল টপ্প।

মোবারক হোসেন আরও বলেন, ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মুঠোফোনে হাকিমপুর থানা ও বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে থানা–পুলিশ স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘাসুড়িয়া গ্রামে যায়। প্রফুল্ল টপ্পর বাড়ি থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড র নট ধ নখ ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্ট্রিট ফুডের’ দোকানের চাপে ছোট হয়ে আসছে খেলার মাঠ

মাগুরা পৌরসভার নিজনান্দুয়ালী গ্রামের তরুণ রিফাত হোসেন প্রায় প্রতিদিন বিকেলে শহরের নোমানী ময়দানে ফুটবল খেলেন। তাঁর মতো অনেক তরুণের শৈশব-কৈশোরের বিকেল কেটেছে এই মাঠে। তবে এখন সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, মাঠে দোকানপাট বসতে থাকায় ক্রমেই খেলার জায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে।

শহরের একটি কলেজের স্নাতকে পড়া মো. রিফাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে নিয়মিত সভা-সমাবেশের জন্য গর্ত খোঁড়া হয়। সেই সমস্যার মধ্যেও এখানে খেলাধুলা চলে। তবে গত কয়েক মাসে এখানে দোকান বসে যাওয়ায় মাঠ ছোট হয়েছে। ফলে খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া এখানে প্রতিদিন ড্রাইভিং শেখানো হয়। এতে মাঠের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। মাঠে এখন ঘাস নেই বললেই চলে। প্রায়ই খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়তে হয়।’

মাগুরা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নোমানী ময়দান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। বহু বছর ধরে শহরের বাসিন্দাদের খেলার মাঠ ও বিনোদনের একমাত্র উন্মুক্ত স্থান হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ মাঠেই প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মাঠটি ব্যবহৃত হয়। শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ নির্দিষ্ট সময় ছাড়া বন্ধ থাকা বা খেলার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় খেলাধুলার জন্য নোমানী ময়দানের ওপর নির্ভরশীল শিশু ও তরুণদের একটি বড় অংশ।

খেলোয়াড় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের পর শহরের যানজট কমাতে সড়কের পাশে বসা অস্থায়ী দোকানগুলোকে নোমানী ময়দান–সংলগ্ন সেগুনবাগিচা সড়কের পাশে বসার নির্দেশনা দেয় পৌর প্রশাসন। এর পর থেকে ওই সড়কের পাশ ছাড়িয়ে নোমানী ময়দানের একটি অংশ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে বসতে শুরু করে।

গত শনিবার নোমানী ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশে অন্তত ৫২টি অস্থায়ী দোকান বসেছে। এর মধ্যে ৪৫টির বেশি চালু রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত এসব দোকান চালু থাকে।

নোমানী ময়দানের আশপাশে অন্তত ৫২টি অস্থায়ী দোকান বসেছে। এতে বিঘিন্ন হচ্ছে খেলাধূলার পরিবেশ। গত শনিবার বিকেলের চিত্র

সম্পর্কিত নিবন্ধ