তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে কাকরাইলে চলমান আন্দোলন থেকে এ ঘোষণা দেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইস উদ্দিন।

তিনি বলেন, “আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি। কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। আমাদের অধিকার চাইতে, আমাদের দাবি আদায় করতে এসেছি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না।”

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে অবস্থান করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আছেন শিক্ষকেরাও। দাবি আদায়ে কাকরাইল মসজিদের সামনের রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন তারা। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সরজমিনে দেখা যায়, এখনও সড়কেই অবস্থান করছেন তারা। আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কাকরাইল মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় তৈরি হয়েছে যানজট। এদিকে, পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। 

এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ শুরু করেন জবির শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা। লং মার্চটি গুলিস্থান, মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে আসলে ১২টা ৪০ মিনিটে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশি কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে ওখানে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। 

এরমধ্যে গতকাল রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন এবং ভিড় থেকে কেউ একজন তাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।

রাত ১২টার দিকে এই প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ব্রিফ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

ঢাকা/সুকান্ত/লিমন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা ও আগামী নির্বাচন বানচাল করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফয়জুল হাকিম এ আহ্বান জানান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফয়জুল হাকিম বলেন, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদবিরোধী সংগ্রামের যে পতাকা মাওলানা ভাসানী তুলে দিয়ে গেছেন, তা নিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে মাওলানা ভাসানী ছিলেন আজীবন আপসহীন।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের জাতীয় পরিষদের সদস্য কাজী ইকবাল বলেন, ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী পাকিস্তানের শাসকদের বিদায় জানিয়ে ছিলেন। ১৯৬৯ সালে ঘেরাও আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব শাহীর পতন ত্বরান্তিত করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শফী রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক রফিক আহমেদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার। আলোচনা সভায় কবি শামসুর রাহমানের ‘সফেদ পাঞ্জাবি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন ইশরাত জাহান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ