কাকরাইলের সমাবেশে জবির সাবেক শিক্ষার্থীরাও, ক্যাম্পাস থেকে আসছে বাস
Published: 16th, May 2025 GMT
দাবি আদায়ের আন্দোলনে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সমাবেশে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাই কমিটি ও নানা জায়গায় অবস্থান করা সাবেক জবিয়ানরা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
তারা বলছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে আমরা আপসহীন। আগেও অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কোনো পার্থক্য নাই। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার করতে হবে।
সাবেক জবিয়ানদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পানি, কেক, কলাসহ নাস্তা সরবরাহ করা হচ্ছে। ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি, পূর্ণাঙ্গ বাজেট, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তদন্ত ও বিচার দাবিতে আন্দোলন করছেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস থেকে আসছে বাস: চলমান আন্দোলনের তৃতীয় দিন আজ শুক্রবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাকরাইলের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড.
তিনি বলেন, বাসের অনেক ড্রাইভার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী নামাজের আগে ও পরে বাস ছাড়া হবে ক্যাম্পাস থেকে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনে পিআরের বিকল্প নেই: আব্দুল্লাহ তাহের
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সংখ্যানুপাতে (পিআর) সংসদের আসন বণ্টন পদ্ধতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে কার্যালয়ে জুলাই-আগস্টের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. তাহের বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে সহযোগিতা করছে না, তারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে ভয় পায়। যারা নির্বাচনের আগেই সংসদে ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করে, তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা। তারা মূলত হাসিনা মার্কা যেনতেন নির্বাচন চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে, বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুমের শিকার হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুলুম ও বৈষম্য ছিল। ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৪ এর স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত নতুন বাংলাদেশ মৌলিক পরিবর্তন চায়। বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই শর্তহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরের সীমাবদ্ধ চায়। কারও উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়, তাহলে মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি সমর্থন জানান না, জানাতে পারেন না।
দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহানগরের নেতা এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।