চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া উপকূলে সাগরে ডুবে নিখোঁজ কিশোর মোহাম্মদ সিফাতের (১৭) লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত সিফাত কক্সবাজার সদর উপজেলার ইনানী সেপটখালী গ্রামের আমানুল্লাহর ছেলে। বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট অ্যাপ্রোচ সড়কে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত ছিল সে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে এক বন্ধুসহ সাগরে গোসল করতে নেমে জোয়ারের পানির স্রোতে সে তলিয়ে যায়।

সিফাতের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো.

ফিরোজ মিয়া। তিনি বলেন, নিখোঁজ সিফাতকে উদ্ধারে আজ সকাল ছয়টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এর মধ্যেই সকাল ১০টার দিকে সিফাতের লাশ সাগরে ভেসে উঠে। যে জায়গায় সে নিখোঁজ হয়, সেখান থেকে ৫০০ গজ উত্তরে লাশটি পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধারের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বিকেলে সিফাত সাগরে নিখোঁজ হওয়ার পর কুমিরা নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে ডুবুরি দলও অভিযানে যোগ দেয়। তবে সিফাতকে খুঁজে না পেয়ে গতকাল রাত আটটার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ইতিহাস হয়ে থাকবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। সময়মতো রায় কার্যকরের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা আবদুর রব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। এই রায় থেকে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী, হাসিনার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত রায় দেবে এবং সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধানের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হলো। এ থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ