চ্যাম্পিয়ন হয়েও কেন গলায় পদক ওঠেনি টটেনহাম অধিনায়ক সনের
Published: 22nd, May 2025 GMT
ইউরোপা লিগের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন টটেনহাম অধিনায়ক সন হিয়ুং-মিন। সনের ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত নিশ্চিত এটিই। তবু ওই ছবিটা দেখলে কী যেন নেই—এমন একটা অনুভূতি ভর করবে সবার মনেই। একটু ভালো করে দেখলেই অবশ্য বোঝা যাবে সনের গলায় চ্যাম্পিয়নের পদক নেই। গলায় পদক নেই তাঁর সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান রোমেরোরও।
কাল রাতে বিলবাওয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে টটেনহাম ইউরোপা লিগ জয়ের পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা ফুটবল বিশ্বে। কেন সনের গলায় পদক ওঠেনি, এ নিয়ে পরে ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে আয়োজক উয়েফাকে।
১৭ বছর পর কোনো শিরোপা জেতা টটেনহামের কাছে এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেও এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, ভুলটা আসলে টটেনহামেরই।
সনসহ টটেনহামের তিন খেলোয়াড় যে পদক পাননি, সেটি ধরা পড়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই। পদক নিতে টটেনহামের শেষ কয়েকজন খেলোয়াড় যখন মঞ্চে যাচ্ছিলেন, তখনই দেখা যায় পদকের ট্রে শূন্য। সে সময় বিব্রত উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দার সেফেরিন টটেনহাম মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেনতাঙ্কুর, সহ–অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও অধিনায়ক সনকে আলিঙ্গন করেই ছেড়ে দেন। এরপর সন-রোমেরো-বেনতাঙ্কুর পদক ছাড়াই ট্রফি নিয়ে উল্লাসে মাতেন।
মঞ্চে পদক পাননি ক্রিস্টিয়ান রোমেরোও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় পদক
এছাড়াও পড়ুন:
সংগঠনকে অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিধিমালার সংশোধন
ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করার বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালি বিধিমালায় সংশোধন আনা হয়েছে। এত দিন অভিযুক্ত হিসেবে শুধু ব্যক্তিকেই বোঝাত। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনে অভিযুক্তকে অথবা সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন, এমন ক্ষমতাও বিধিমালায় রাখা হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালি বিধিমালা-২০১০’-এ এ দুটিসহ মোট ৪৪টি সংশোধনী ও সংযোজন এনে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই বিধিমালা এখন ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কার্যপ্রণালি বিধিমালা ২০১০ (সংশোধন), ২০২৫’ নামে অভিহিত হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ২২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রণীত ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালি বিধিমালা-২০১০’-এর ৬৬ বিধিতে উল্লিখিত ক্ষমতাবলে ট্রাইব্যুনাল এই সংশোধনী এনেছেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
১০ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল), ১৯৭৩ আইনের সংশোধন এনে অধ্যাদেশ জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেখানে সংগঠনের সংজ্ঞায় সংশোধন আনা হয়। সেই সংশোধন অনুযায়ী, সংগঠন বলতে যেকোনো রাজনৈতিক দলকেও বোঝাবে। পাশাপাশি সংগঠন বলতে রাজনৈতিক দলের অধীনস্থ, সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন অথবা গোষ্ঠীকেও বোঝাবে।
আইনের সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছিল, এই আইন বা প্রযোজ্য অন্যান্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারা উপধারা (২)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, মদদ দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহযোগিতা করেছে অথবা অন্য যেকোনোভাবে সেই অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছে, তবে সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার, এর নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত অথবা বাতিল করার এবং এর সম্পত্তি জব্দ করার ক্ষমতা থাকবে ট্রাইব্যুনালের।
আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারির আগে সে দিনই (১০ মে) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এ অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের বিধিমালায়ও সংশোধন আনা হলো।
কার্যবিধি সংশোধনের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে সংগঠনের বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেই বিচারের পদ্ধতি কেমন হবে, সংগঠনের পক্ষ থেকে কে কে ট্রাইব্যুনালে এই বিচারে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তার বর্ণনাও এই সংশোধনীতে আনা হয়েছে।
গাজী মোনাওয়ার আরও বলেন, তদন্ত চলাকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, অথবা তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো প্রসিকিউটর যেকোনো অভিযুক্তকে অথবা সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনাল অথবা যেকোনো ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে।
এই আইনজীবী আরও বলেন, চিফ প্রসিকিউটর চাইলে একাধিক অভিযুক্তকে একসঙ্গে বিচারের আওতায় আনতে পারবেন। অথবা তাঁদের ভাগ ভাগ করে বিচারের আওতায় আনতে পারবেন। অথবা একাধিক অভিযোগ একই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যদি তদন্তে প্রমাণিত হয়, তাহলে ফরমাল চার্জ দাখিলের মাধ্যমে অনেকগুলো অভিযোগের বিচার একসঙ্গে করতে পারবেন।