ঈদে সাশ্রয়, সুবিধা আর পুরস্কারের চমক, দারাজের ৬.৬ বিগ ঈদ সেল শুরু
Published: 23rd, May 2025 GMT
ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে দারাজ শুরু করেছে ৬.৬ বিগ ঈদ সেল বিশেষ ক্যাম্পেইন। ২০ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন, যেখানে শুধু ছাড়েই নয়, থাকছে ব্যতিক্রমী পুরস্কার, আকর্ষণীয় ভাউচার ও ক্রেতাভিত্তিক চমকপ্রদ কনটেস্ট।
ক্যাম্পেইনে থাকছে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। নির্দিষ্ট অর্ডারে ফ্রি ডেলিভারি, আর রয়েছে এমন একটি অফার, যেখানে একজন ক্রেতা জিতে নিতে পারেন একটি গরু। দারাজের ‘জিতসেন ভাই’ কনটেস্টটি এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা তৈরি করেছে। ২০ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সফল অর্ডার যার থাকবে, তিনি পাবেন একটি গরু এবং ক্রমানুসারে বাকি দু’জন পাবেন একটি করে ছাগল।
এছাড়া ক্যাম্পেইনের প্রথম দিন, ২০ মে রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে মিডনাইট ভাউচার ড্রপ যেখানে প্রথম ঘণ্টাতেই মিলবে সীমিত সংখ্যার হাই-ভ্যালু ভাউচার। একই দিন থেকে চলবে ‘মেগা গিভঅ্যাওয়ে’ কনটেস্ট, যেখানে সর্বোচ্চ সফল অর্ডার মূল্যের গ্রাহক জিতে নিতে পারবেন একটি এসি। কনটেস্টের বিস্তারিত জানা যাবে দারাজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে।
দারাজের জনপ্রিয় নিজস্ব চয়েস চ্যানেল থেকে যারা ঈদের কেনাকাটা করবেন, তাদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে আছে ৪টি পণ্য কিনলে ফ্রি ডেলিভারি এবং ৫টি কিনলে ১টি ফ্রি গিফট। এর ফলে প্রতি অর্ডারেই তৈরি হচ্ছে সাশ্রয়ের সুযোগ।
নির্দিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পেমেন্টে থাকছে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক বা ডিসকাউন্ট। অংশীদার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বিকাশ, নগদ, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, লংকাবাংলা, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ইএমআই পার্টনার হিসেবে এনআরবি ব্যাংক ও ইবিএল যিপ। এছাড়া ৭৯৯ টাকার বেশি অর্ডার করলেই মিলবে ফ্রি ডেলিভারি সুবিধা।
দারাজ জানিয়েছে, ঈদ সেলের জন্য ব্র্যান্ড পার্টনারদের আগ্রহ ছিল চোখেপড়ার মতো। ট্রিক্স রয়েছে প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে। প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড, ইউনিলিভার, হায়ার, লোটো এবং ওরাইমো—এরা অংশ নিয়েছে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে। আর গ্রুম লাভিনো, পার্পল কেয়ার, ইউগ্রিন বাংলাদেশ, মাইক্রোল্যাব, কুডি, ওয়েলেসিয়া, হিমালয়া, এসকেবি, নেসলে এবং ডাবর রয়েছে সিলভার ক্যাটাগরিতে। প্রতিটি ব্র্যান্ড দিচ্ছে বিশেষ ছাড়- ইলেকট্রনিকস, গ্রোসারি, ফ্যাশন, হেলথ অ্যান্ড বিউটি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।
এদিকে মে মাসেও দারাজের মাসিক আয়োজন সুপার ব্র্যান্ড ডে’তে রয়েছে ক্রেতাদের জন্য আলাদা চমক। এই মাসে ২০ মে হায়ার এবং ২৩ মে রেকিট বেনকিজার নিজেদের সেরা অফার নিয়ে থাকছে দারাজে- যা থাকবে কেবল ওই দিনগুলোর জন্য। ঈদের প্রস্তুতিতে অনেকেই এই ডিলগুলোকে কাজে লাগাবেন বলে প্রত্যাশা করছে দারাজ। সারাদেশে দারাজের শক্তিশালী লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে- অনলাইন শপিং এখন শুধু শহরের না, বরং প্রতিটি জেলার জন্যও সময়-খরচ বাঁচানোর নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। যারা ঈদের ভিড় এড়িয়ে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে চান, তাদের জন্য ৬.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন কনট স ট ঈদ স ল র জন য অর ড র ন একট
এছাড়াও পড়ুন:
জিসানের মুক্তির দাবিতে যুব ফেডারেশন’র মানববন্ধন
‘আদালত প্রাঙ্গনে মব নিয়ে সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে 'মিথ্যা' আখ্যা দিয়ে এবং তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায়, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ যুব ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে জেলা যুব ফেডারেশন আহ্বায়ক সাকিব হোসেন হৃদয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম ইফতির সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জাহিদ সুজন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব নারায়ণগঞ্জ এর দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ আকাশ, মুখপাত্র গাজি রাকিবুল ইসলাম হিমেল, শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ এর সদস্য সচিব মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ এর সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, যুব নারায়ণগঞ্জ এর যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মোল্লা এবং গণসংহতি জেলার অন্যতম নেতা আলমগীর ইসলাম আলম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে জাহিদ সুজন বলেন, "নারায়ণগঞ্জের ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সদস্য ও সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানকে ভুয়া মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।"
তিনি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, "আমরা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম জিসানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের প্রমাণ থাকলে হাজির করুন। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।"
তার দাবি, পুলিশ জানিয়েছে জিসানের গ্রেপ্তারের পেছনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রয়েছে। সুজন অভিযোগ করেন, "স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে একই রকমভাবে প্রশাসনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হতো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বনাম ইসলামের নামে ভূয়া দ্বন্দ্ব তৈরি করে মানুষকে বিভাজিত করে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিলো।"
জাহিদ সুজন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা গত ১৭ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে বলেছি, বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকে, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।"
তিনি আন্তর্জাতিক প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, "একদিকে আমাদের পাশের দেশ ভারত অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে।"
২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে আলমগীর হোসেন আলম বলেন, "২৪'এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলাম। ন্যায় বিচার ব্যবস্থা দেখতে চেয়েছিলাম।"
তবে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পরে আদালত-প্রশাসনে মব হাজির করে কিছু গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ আদায় করেছে।"
তিনি আরও দাবি করেন, "আমরা জানতে পেরেছি ১৮ নং ওয়ার্ডের এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিএনপির নেতা বন্যায় ত্রাণ দুর্নীতি করেছিল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে জিসানকে প্রতিহিংসাবশত মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।"
এদিকে সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুব ফেডারেশন আহ্বায়ক সাকিব হোসেন হৃদয় বলেন, আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের পক্ষে। জিসানকে যে কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা একেবারে একটি বানোয়াট।
মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তারের সময় জিসান নাকি পুলিশকে অবরুদ্ধ করেছে। আদতে সে সেদিন সেখানে ছিলোই না।
প্রশানকে বলতে চাই আপনাদের উপর নাগরিকদের অনাস্থা তৈরী হয়েছিলো, কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করে নাগরিকরা আপনাদের প্রতি আস্থা তৈরী করেছে।
আপনারা পুনরায় আবার অনাস্থা ফিরিয়ে আনবেন না। আবার যদি আনেন তাহলে মাফ তো পাবেই না। আমরা সাংবাদিক ও আমাদের সবযোদ্ধা জান্নাতুল ফেরদৌস জিসানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।