কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
Published: 26th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) ব্যবস্থাপনায় ও স্কয়ার টয়লেট্রিজের পৃষ্ঠপোষকতায় কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আজ শুরু হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২টি মিডিয়া হাউস এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে। আজ প্রথম দিনে জয় পেয়েছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক যুগান্তর, নিউজ২৪, প্রথম আলো, এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই, ঢাকা ট্রিবিউন ও দেশ টিভি। আজ সকালে পল্টন আউটার মাঠে সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। তিনি বিএসজেএর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'বিএসজেএকে ধন্যবাদ জানাই ধারাবাহিকভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য। মিডিয়া কর্মীরাও ফুটবল ভালোবাসেন ও খেলেন—এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ফিফা গ্রাসরুট সপ্তাহ চলছে। মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ছবি ও ভিডিও ফিফায় পাঠাবে বাফুফে। গ্রাসরুট অর্থ শুধুই তৃণমূল নয়—নন-ট্র্যাডিশনাল ফুটবলও যুক্ত। আমরা ফিফায় এই টুর্নামেন্টের ছবির পাশাপাশি বর্ণনাও (ন্যারেটিভ) পাঠাব,' বলেন তাবিথ আউয়াল।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কুলের ব্র্যান্ড ম্যানেজার আবিদ বিন শহীদ, বিএসজেএ সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন এবং টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক উদ্বোধনী মঞ্চে ছিলেন।
আরো পড়ুন:
লেভানডোভস্কির শততম গোলে মৌসুম শেষ করলো চ্যাম্পিয়ন বার্সা
আলোনসোর প্রত্যাবর্তন
খেলোয়াড় থেকে কিংবদন্তি কোচ হয়ে রিয়ালের ডাগআউটে
দিনের প্রথম খেলায় এসএ টিভিকে ২–০ গোলে হারিয়েছে বৈশাখী টিভি। একই ব্যবধানে দৈনিক যুগান্তর হারিয়েছে দৈনিক মানবজমিনকে, চ্যানেল আই ইত্তেফাককে, ঢাকা ট্রিবিউন এটিএন নিউজকে, এটিএন বাংলা রাইজিংবিডিকে হারিয়েছে। নিউজ২৪ ১–০ গোলে হারিয়েছে দৈনিক কালবেলাকে। দিনের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে মাছরাঙা টিভি ও প্রথম আলোর মধ্যে। ঐ ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র ছিল। টাইব্রেকারে প্রথম আলো ৩-২ গোলে মাছরাঙাকে হারিয়েছে। ৭১ টিভি মাঠে না আসায় ওয়াকওভার পেয়েছে দেশ টিভি।
যুগান্তরের হয়ে ইমরান ও জ্যোতির্ময় মণ্ডল একটি করে গোল করেন। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মাজহারুল ইসলাম। ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোল করে নিউজ২৪-এর হয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন জিহাদ। দুটি শট ঠেকিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন প্রথম আলোর গোলরক্ষক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি। বৈশাখী টিভির মশিউর রহমান পার্থ জোড়া গোল করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। গোল করে চ্যানেল আইকে জেতানো মিলন পেয়েছেন ম্যাচসেরার স্বীকৃতি। ঢাকা ট্রিবিউন ও এটিএন বাংলার হয়ে যথাক্রমে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাফিউল আজম এবং মুশফিকুর রহমান।
ম্যাচসেরাদের হাতে বিএসজেএ ক্রেস্ট ও কুলের গিফট হ্যাম্পার তুলে দেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব, বিএসজেএ সদস্য মাকসুদা লিসা, টুর্নামেন্ট কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি, প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন মাসুম, প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক ও বিএসজেএ সদস্য তারেক মাহমুদ।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এই ট র ন ম ন ট প রথম আল র ব এসজ এ গ ল কর ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।