রাজধানীর শংকর বাসস্ট্যান্ডের কাছে সাত মসজিড রোডে  একটি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তটিকে বলা হচ্ছে ‘সিংকহোল’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘সিংকহোল (Sinkhole) হলো ভূমির একটি গর্ত বা খাদ। যা হঠাৎ করে মাটির উপরিভাগে তৈরি হয়। এটি মূলত তখন ঘটে, যখন মাটির নিচের স্তর ধসে বা ভেঙে পড়ে। আর ওই ফাঁকা স্থানে উপরের মাটি ঢুকে পড়ে এবং একটি গর্ত বা খাদ তৈরি হয়।’’

সিংকহোল প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় আবার মানবসৃষ্টও হয়ে থাকে। শংকরের সিংকহোলটি কেমন? এই বিষয়ে বুধবার(২৮ এপ্রিল) রাইজিংবিডির সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.

মেহেদী আহমেদ আনসারী।

রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন,  ‘‘আমরা অনেক সময় রিকশায় চলতে-চলতে দেখি রাস্তার মাঝে একটি জায়গায় ডাল বা কোন কিছু দিয়ে চিহ্নিত করা যে, এখানে গর্ত রয়েছে। এই গর্তটিও দেখে মনে হচ্ছে এটি মানবসৃষ্ট কোন সিংকহোল। রাস্তার কনস্ট্রাকশনের কাজ যখন করা হয়েছে তখন হয়তো ঠিকঠাকমতো কাজ করা হয়নি। কিংবা বিভিন্ন লাইন (পানি-গ্যাস) এসবের কাজের সময় মাটি ঠিকঠাক ভরাট করা হয়নি। যার ফলে এটা সৃষ্টি হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

ঘূর্ণিঝড় দানার ক্ষতচিহ্ন

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতি সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

‘‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ন্যাচারাল সিংকহোল দেখা যায়নি। বাংলাদেশের মাটির সঙ্গে এমন হওয়ার ঘটনা আমরা ছাত্র থেকে আজ পর্যন্ত শুনিনি। কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্যে এমন হতে পারে। ন্যাচারালটা আমাদের মাটির সঙ্গে যায় না। আপনি আমেরিকা, কানাডা, আফ্রিকায় প্রচুর সিংকহোল দেখতে পাবেন।’’—যোগ করেন অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী

শংকরের গর্তটি কীভাবে ঠিক করা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘‘ শংকরের এই গর্তটি যখন ভরাট করবে তখন অনেক দিক বিবেচনা করে ভরাট করতে হবে শুধু মাটি ফেললেই হবে না। কতটুক গর্ত হয়েছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

ড. মেহেদী হাসান উল্লেখ করেন, মাঝেমধ্যেই রাস্তায় এমন ছোট-বড় গর্ত দেখা যায়। এই গর্তটি মেইনরোডে দেখেই হয়তো এত জানাননি হচ্ছে।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ কর র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ