দোয়া ও মিলাদের মধ্যে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডস্থ ক্যানাল পাড় সংলগ্ন বালুর মাঠে কুরবানির পশুর হাটের উদ্ধোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩০মে) রাতে কুরবানির পশুর হাটে মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে এ হাটের উদ্ধোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য বাবুল প্রধান, এ্যাডঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, জাকির হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, ইস্রাফিল প্রধান, কামরুল হাসান শরীফ, মহিউদ্দিন সিকদার, হাজী নুরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহ-জাহানসহ আরো অনেকে।

দোয়া ও মিলাদ শেষে হাটের ইজারাদার মাজেদুল ইসলাম বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পশুর হাট বসানো হয়েছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী জালকুড়ি পশু কুরবানির হাট।

পশুর হাটে সর্বাক্ষণিক নিরাপত্তা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারাহ নিশ্চিত করা। জাল নোট শনাক্তকরন, আধুনিক পদ্ধতিতে হাসিল আদায়সহ সকল ধরনের ব্যবস্থা।

এছাড়া সার্বক্ষনিক পশু চিকিৎসা ব্যবস্থা, হাটে পশু আনতে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এর জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট ক রব ন ক রব ন র

এছাড়াও পড়ুন:

৭ দফা দাবিতে বিদ্যুৎকর্মীদের আজ মহাসমাবেশ

সাত দফা দাবিতে আজ সোমবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল রোববার এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দাবি আদায়ে ১২ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশে ৪ কোটি ৮২ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক। এর মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার।

দাবি

সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন; মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা ইত্যাদি।

আন্দোলন

দাবি আদায়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন সমিতির কর্মীরা। এর ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। ২২ মে থেকে বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে সমিতিগুলোতে আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার সমিতির অফিসে গ্রাহকসেবায় ব্যবহৃত অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল ফোন জমা দেওয়া হয়। এতে অনেক এলাকার গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, গ্রাহকসেবা চালু রেখে এবং জনদুর্ভোগ তৈরি না করে কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া ছাড়া তাদের গতি নেই।

সংহতি

পল্লী বিদ্যুতের আন্দোলনে গত কয়েক দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও  সংগঠন সংহতি জানিয়েছে। গতকাল সংহতি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

নাসীরুদ্দীন বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা অশান্ত হলে দেশে অন্ধকার নেমে আসবে।
সামান্তা শারমিন বলেন, পতিত স্বৈরাচারের ফ্যাসিবাদী কাঠামো রয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে। এ কাঠামো ভাঙতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এদিকে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচনায় বসে পল্লী বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে জুলাই ঐক্য নামের একটি সংগঠন।

সরকারের উদ্যোগ

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমকালকে বলেন, তাদের অনেক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একটি কাঠামোগত সংস্কার এক দিনেই করা যায় না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ