বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) ব্যবস্থাপনায় এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে দৈনিক যুগান্তর।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২টি মিডিয়া হাউজের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে রোববার বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে এটিএন বাংলাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দৈনিক যুগান্তর। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ দিন পর আবার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতে যুগান্তরের খেলোয়াড়রা।

ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, বিএসজেএর সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, বাফুফে সদস্য মঞ্জুরুল করিম, সিনিয়র ক্রীড়া সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল, স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার আবিদ বিন শহীদ এবং বিএসজেএর সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক এস.

এম. সুমন।

আরো পড়ুন:

পিএসজির মহাকাব্যিক জয়ে ইতিহাসের পাতা ওল্টানো ১০ নজির

মেসির ম্যাজিকাল রাত, মায়ামির গোল বন্যায় ভেসে গেল কলম্বাস

টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়ে আকর্ষণীয় ট্রফির পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার পেয়েছে দৈনিক যুগান্তর। রানার্স-আপ হওয়া এটিএন বাংলাকে দেওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে যুগান্তরকে প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন সাদ্দাম হোসেন ইমরান। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়িয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন অধিনায়ক জ্যোতির্ময় মণ্ডল। মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত শটে জাল কাঁপিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাদ্দাম হোসেন ইমরান।

আসর জুড়ে ৪ গোল ও ২টি অ্যাসিস্ট করে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন যুগান্তরের অতিথি খেলোয়াড় মাঝহারুল ইসলাম মিঠুন। রানার্স-আপ এটিএন বাংলার আদদ্বীন সজীব (৪ গোল) পান সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। দৈনিক যুগান্তরের এ কে সালমানের হাতে ওঠে সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি।

ফাইনালের একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় সেমি-ফাইনালের দুটি ম্যাচ। দিনের প্রথম সেমি-ফাইনালে ঢাকা ট্রিবিউনকে ২-১ গোলে হারায় যুগান্তর। জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার ম্যাচ সেরা হন মাঝহারুল ইসলাম মিঠুন।

লড়াই জমে ওঠা অন্য সেমি-ফাইনালে দেশ টিভিকে ১-০ গোলে হারায় এটিএন বাংলা। জয়সূচক গোলটি করে দলের নায়ক আদদ্বীন সজীব।

টানা বৃষ্টির মাঝেও উৎসবমুখর পরিবেশে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোতে অংশগ্রহণকারী সব দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএসজেএ সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক ও বিএসজেএর সহ-সভাপতি রায়হান আল মুঘনি এবং টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ইয়াসিন হাসান রাব্বি।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল দ ন ক য গ ন তর প রস ক র ব এসজ এ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ