বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম পার করেছেন লামিনে ইয়ামাল। ১৭ বছর বয়সেই স্প্যানিশ জায়ান্টদের আক্রমণভাগের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন তিনি। আর এতেই বেড়েছে আলোচনার ঝড়। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পার্তিদাসো দে কোপে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেন, ‘না, অসম্ভব (রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা)।’ এ উত্তরের মাধ্যমে তিনি যেন বার্সা ভক্তদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন।

সাম্প্রতিক মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট করেছেন ইয়ামাল। জায়গা করে নিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা একাদশেও। যদিও ব্যক্তিগত অর্জন দারুণ হলেও দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেননি, এটাই তার একমাত্র আক্ষেপ।

সাক্ষাৎকারে নিজের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেন এই তরুণ উইঙ্গার, ‘প্রতিটি মৌসুমে উন্নতি করতে চাই। আগামী মৌসুমে আরও বেশি গোল ও অ্যাসিস্ট করতে চাই। শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী হব।’

লা মাসিয়ার আঁতুড়ঘর থেকে উঠে আসা ইয়ামালের অভিষেক ঘটে মাত্র ১৫ বছর বয়সে। এরপর মাত্র দুই মৌসুমেই বার্সার হয়ে খেলেছেন ১০৬টি ম্যাচ, করেছেন ২৫ গোল, অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৪টি। এল ক্লাসিকো, লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের স্বাদ পেলেও ইউরোপ সেরার মঞ্চে এখনও সাফল্য অধরা।

বার্সেলোনা-রিয়ালের নিজেদের মধ্যে খেলোয়াড় কেনাবেচা একরকম ‘নিষিদ্ধ’ই বলা চলে। আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি নেই ঠিকই। তবে দুই দলই বছরের পর বছর ধরে ব্যাপারটি মেনে আসছে। ২০০০ সালে লুইস ফিগো বার্সা ছেড়ে রিয়ালে যাওয়ার পর তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল। এমনকি রিয়ালের জার্সিতে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে যাওয়া ফিগোর দিকে শূকরের মাথা ছুড়ে মারা হয়েছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগে

এল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ‍৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ