রিয়ালে খেলা অসম্ভব, সরাসরি জানিয়ে দিলেন ইয়ামাল
Published: 3rd, June 2025 GMT
বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত এক মৌসুম পার করেছেন লামিনে ইয়ামাল। ১৭ বছর বয়সেই স্প্যানিশ জায়ান্টদের আক্রমণভাগের অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন তিনি। আর এতেই বেড়েছে আলোচনার ঝড়। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পার্তিদাসো দে কোপে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেন, ‘না, অসম্ভব (রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা)।’ এ উত্তরের মাধ্যমে তিনি যেন বার্সা ভক্তদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন।
সাম্প্রতিক মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট করেছেন ইয়ামাল। জায়গা করে নিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা একাদশেও। যদিও ব্যক্তিগত অর্জন দারুণ হলেও দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেননি, এটাই তার একমাত্র আক্ষেপ।
সাক্ষাৎকারে নিজের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেন এই তরুণ উইঙ্গার, ‘প্রতিটি মৌসুমে উন্নতি করতে চাই। আগামী মৌসুমে আরও বেশি গোল ও অ্যাসিস্ট করতে চাই। শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী হব।’
লা মাসিয়ার আঁতুড়ঘর থেকে উঠে আসা ইয়ামালের অভিষেক ঘটে মাত্র ১৫ বছর বয়সে। এরপর মাত্র দুই মৌসুমেই বার্সার হয়ে খেলেছেন ১০৬টি ম্যাচ, করেছেন ২৫ গোল, অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৪টি। এল ক্লাসিকো, লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের স্বাদ পেলেও ইউরোপ সেরার মঞ্চে এখনও সাফল্য অধরা।
বার্সেলোনা-রিয়ালের নিজেদের মধ্যে খেলোয়াড় কেনাবেচা একরকম ‘নিষিদ্ধ’ই বলা চলে। আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি নেই ঠিকই। তবে দুই দলই বছরের পর বছর ধরে ব্যাপারটি মেনে আসছে। ২০০০ সালে লুইস ফিগো বার্সা ছেড়ে রিয়ালে যাওয়ার পর তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল। এমনকি রিয়ালের জার্সিতে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে যাওয়া ফিগোর দিকে শূকরের মাথা ছুড়ে মারা হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব
পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’
চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকা/ফিরোজ