এখানে বব মার্লে মোনালিসার প্রতিবেশী
Published: 4th, June 2025 GMT
সবে মার্ফা গ্রাম থেকে ফিরেছি। মুক্তিনাথ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য গাড়ি পেতে একটু ধকল পোহাতে হয়েছে। মুক্তিনাথে সবাই যান পুণ্যলাভের আশায়। অনেকে আবার বলেন, মুক্তিনাথের যে জলাধার, তাতে ডুব দিলে ধুয়ে যায় আগের সব পাপ। আমি এসেছিলাম আত্মাকে মুক্ত করতে।
আচ্ছা! এবারে আসা যাক হোটেলটার গল্পে। মন্দিরের দিকে হাঁটছিলাম। প্রথমেই চোখ পড়ল বব মার্লের ছবিতে। একটু থমকে দাঁড়ালাম। নাম দেখলাম ‘হোটেল বব মার্লে’। কৌতূহল হলো। সেদিন রাতে মুক্তিনাথে থাকার পরিকল্পনা ছিল না। ভেবেছিলাম, একটু এগিয়ে গিয়ে জমসম নামের ছোট্ট মফস্সল শহরটায় থাকব। পরদিন সকালের বাসে পোখারা। কিন্তু হোটেলটা দেখেই মনে হলো, নাহ্, এখানেই থাকতে চাই। সঙ্গে দোতলায় যে ক্যাফেটা, সেটার নাম আবার ‘ফ্রিডম ক্যাফে’। মানে আমাকে আটকে রাখার সব আয়োজনই ছিল। উঁকি মারলাম একবার। কাউকে পেলাম না। কাঠের তিনতলা হোটেল। দেখেই পছন্দ হয়ে গেল। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পেলাম না। কেউ নেই।
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করার উপায় ছিল না। ভাগের ট্যাক্সিতে এসেছি। ট্যাক্সিচালক বলেছেন ফিরতি পথে যাত্রী নেই। আমার জন্য অপেক্ষা করবেন। তাই বের হয়ে পা চালালাম দ্রুত। মিনিট চল্লিশেক লাগবে মুক্তিনাথের মন্দিরটায় পৌঁছাতে। আশপাশে দুই ধারে বরফ জমে আছে তখনো। বরফগলা পানি গড়িয়ে নিচে পড়ছে। এখান থেকে ধলাগিরি খুব একটা দূরে নয়। চারপাশে সাদা পাহাড় মাথা উঁচু করে আছে। ডিসেম্বরের শেষ তখন। আরেকটু বরফ পাব আশা করেছিলাম। তবে হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে। মন্দির আর মঠের আশপাশে ঘণ্টা দুয়েক কাটিয়ে ফিরছিলাম। চালক বলেছিলেন, তিন ঘণ্টার বেশি দেরি না করতে। মন্দিরের বিশাল সিঁড়ি বেয়ে নেমে মিনিট দুই এগিয়েছি, দেখা হলো এক রুশ ভদ্রলোকের সঙ্গে। আগের দিন বাসে আমার সহযাত্রী ছিলেন। ইংরেজি ভালো বলতে পারেন না, তাই চুপচাপ থাকেন বেশির ভাগ সময়। বাস পথে একটা ঝরনার ধারে থেমেছিল। ভদ্রলোক একা একা ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন। বললাম, ‘আমি তুলে দিচ্ছি।’ তখনই যা একটু আলাপ। এরপর মারফাতে নেমে গেলাম। সবাই চলে গেল জমসম। এবার আমাকে দেখে তাঁর চোখের মণি উজ্জ্বল হলো। হাসলেন একটু। বললেন, উঠেছেন সেই বব মার্লেতে। সেখানে নাকি থাকার খরচ নেই! শুধু খাবার খরচটাই দিতে হয়। আমার আগ্রহ আরেকটু বাড়ল এবার। ঘটনাটা কী?
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় জুয়েল মিয়া (৪০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরিফ (২০) নামের আরও একজন।
শনিবার (১ নভেম্বর ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি মেথর খোলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের জুয়েল মিয়া (৪০) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে।
তিনি পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। নিহত জুয়েল বর্তমানে ফতুল্লার মুসলিম নগরে সালাম আহমেদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে রাস্তা পারাপারের সময় ময়দা ও আটা বোঝাই দুটি ট্রাকের মাঝখানে পড়ে দুজন আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত আরিফুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক আবু রায়হান নুর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুটি ট্রাক থানায় নিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত)আনোয়ার হোসেন জানান,দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দুটি ট্রাক থানায় নিয়ে এসেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।