শেষ সময়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

বুধবার (৬ জুন) বিকেলে ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে এ মহাসড়কের ৪৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

রংপুরগামী সোহেল নামের এক যুবক বলেন, ‘‘রাস্তার যে অবস্থা, আগামীকাল সকালে বাড়িতে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে পারব বলে মনে হচ্ছে না।’’

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে মহাসড়কে যানজট 

ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের ২৩ কিলোমিটারে গাড়ির চাপ

রনি মিয়া নামে একজন বলেন, ‘‘টাঙ্গাইল শহর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। আর এতটুকু রাস্তা আসলাম তিন ঘণ্টায়। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ২০ মিনিট লাগে।’’

নাদিয়া আক্তার নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ‘‘গতকাল রাত ৯টায় ঢাকা থেকে বগুড়ার যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেছি। কিন্তু, এখনো টাঙ্গাইল পার হতে পারলাম না। কখন বাড়ি যাব ঠিক নেই।’’

এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘‘ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। গাড়ি দ্রুত পারাপারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

যানজটের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘গত রাতে যমুনা সেতুর ওপরে কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। সেগুলো সড়াতে সড়াতে যানজট লেগে যায়। সেই সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও রয়েছে।’’

ঢাকা/কাওসার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ