রাশিয়ায় পড়াশোনা: রোলিং ইন্টেকের সুযোগ, জেনে নিন স্কলারশিপসহ বিস্তারিত
Published: 10th, June 2025 GMT
রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার বিষয় বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে অনন্য। অর্জিত ডিগ্রিগুলো বিশ্ব স্বীকৃত। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ইন্টার্ন ও স্নাতকদের ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ৪০০টিরও বেশি অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ৬৫০টিরও বেশি বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ফেলোশিপ ও বৃত্তির ব্যবস্থা আছে দেশটিতে। রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ব্যালে নৃত্য, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, চিত্রকলা এবং সাহিত্যের মতো শিল্পে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সুপরিচিত। তাই যারা সৃজনশীল বিষয়ে ক্যারিয়ার গঠনে ইচ্ছুক তাঁদের জন্য রাশিয়া উত্তম গন্তব্য। রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য অধ্যয়ন ও স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপসহ নানা বিষয় জেনে নেওয়া যাক—
রাশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো—লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি, সেন্ট পিটার্সবার্গ ইউনিভার্সিটি, বাউম্যান মস্কো স্টেট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া, কাজান ফেডারেল ইউনিভার্সিটি, হায়ার স্কুল অফ ইকোনমিক্স, মস্কো ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি, টমস্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি, নভোসিবিরস্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ন্যাশনাল রিসার্চ নিউক্লিয়ার ইউনিভার্সিটি এমইপিএইচএল (মস্কো ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স ইনস্টিটিউট)।
পড়ার জন্য জনপ্রিয় বিষয় কোনগুলো—শিল্প, সাহিত্য, নৃত্য, সঙ্গীত এবং চিত্রকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিজনেস স্টাডিজ, মেডিকেল সায়েন্স, মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও ইতিহাস।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে সাইবার সিকিউরিটি কোর্স, ৫ সপ্তাহের কোর্সের বিস্তারিত জেনে নিন০৪ ডিসেম্বর ২০২৪আবেদনের উপায়—রুশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রধান মৌসুম হচ্ছে ফল সেমিস্টার। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সময় থাকে আগের বছরের ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত। ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম শেষে ক্লাস শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাস তথা স্প্রিং সেমিস্টারেও ক্লাস শুরু করে থাকে। স্প্রিংয়ের জন্য আবেদনের সময়সীমা থাকে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই দুই মৌসুমের বাইরে রাশিয়ায় রোলিং ইন্টেকও রয়েছে, যেখানে সারা বছর ধরেই চলে কোর্সে নিবন্ধন। আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বেশ কালক্ষেপণ হয়ে যায়, তাদের জন্য এই ইন্টেকটি যথেষ্ট উপকারে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন জমা নেয়। এর জন্য আবেদনকারীদের তাদের নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। এই অ্যাকাউন্টেই দরকারি নথিপত্র আপলোডসহ আবেদন জমা করা যায়।
নথি যাচাইয়ের প্রথম ধাপে উতড়ে গেলে শিক্ষার্থীকে অনলাইন পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। এই শেষ ধাপে কৃতকার্য হলেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ভর্তির নির্দেশনা দিয়ে প্রথম সেমিস্টারের ফি প্রদান করতে বলে। ফি পরিশোধের পরেই শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয় ইনভাইটেশন বা অফার লেটারের জন্য। এই লেটারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইস্যু করে মূলত রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল মাইগ্রেশন সার্ভিস।
ফাইল ছবি প্রথম আলো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট ভর ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভিনিসিয়ুসের গোলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল ব্রাজিল
ব্রাজিল ১ : ০ প্যারাগুয়ে
বিশ্বকাপের টিকিট, ঘরের মাঠে কোচ কার্লো আনচেলত্তির অভিষেক এবং নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য আজ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি ব্রাজিলের জন্য ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। আর সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে দারুণ এক জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের জয় ১-০ ব্যবধানে।
গোলের এই ব্যবধান অবশ্য ম্যাচের চিত্রকে পুরোপুরি তুলে ধরতে পারছে না। বাস্তবতা হচ্ছে, আগের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে নড়বড়ে থাকা ব্রাজিল এই ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। উপহার দিয়েছে গতিময় ও আক্রমণাত্মক ফুটবলও।
ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখে ব্রাজিল শট নেয় ১১টি, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। ব্রাজিলের আজকের খেলায় আনচেলত্তির কৌশলের ছাপও ফুটে উঠেছে দারুণভাবে। পাশাপাশি এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপের টিকিটও নিশ্চিত করল ব্রাজিল।
ঘরের মাঠে অভিষেকের একদিন আগে নিজের ৬৬তম জন্মদিন পালন করেন আনচেলত্তি। ম্যাচের আগে উপহার হিসেবে শিষ্যদের কাছ থেকে জয়টাই চেয়েছিলেন তিনি। শিষ্যরাও তাঁকে নিরাশ করেননি। জয়ের পাশাপাশি সাও পাওলোতে আজ প্রত্যয়ী ফুটবলও উপহার দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস-রাফিনিয়ারা।
আরও পড়ুনআলমাদার গোলে কলম্বিয়ার বিপক্ষে হার এড়াল ১০ জনের আর্জেন্টিনা ১ ঘণ্টা আগেইকুয়েডরের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে অনেক। বিশেষ করে সেই ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণভাগের দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরো ম্যাচে মাত্র ৩টি শট নিতে পেরেছিল আনচেলত্তির দল। ম্যাচের পর আক্রমণে গতি আনার কথা বলেছিলেন ব্রাজিল কোচ নিজেও। সেই লক্ষ্যে একাদশে উল্লেখযোগ্য তিনটি পরিবর্তনের কথাও শোনা গিয়েছিল।
ম্যাচের আগে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো যে তিনটি পরিবর্তনের কথা বলেছিল সেই পরিবর্তন নিয়েই শুরু হয় আজকের ম্যাচটি। গেরসন, এস্তেভাও ও রিচার্লিসনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, রাফিনিয়া ও মাতেউস কুনিয়া।
দলের খেলাতেও এই পরিবর্তনের ছাপ ছিল স্পষ্ট।