এই বাংলাদেশ নিয়ে গর্বিত শমিত বললেন, ‘যা চেয়েছি, তা করতে পারিনি’
Published: 11th, June 2025 GMT
সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে শমিত সোমের। দল হারলেও অভিষেকেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের পুরো সময়ে ৬টি আশাজাগানিয়া সুযোগ তৈরি করেন শমিত। তারপরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
এ নিয়ে কিছুটা হতাশ হলেও এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত শমিত। আজ ঢাকা থেকে কানাডায় ফিরে গেছেন। এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশ ফুটবল দল এবং সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো এই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার এবং খেলার এক অসাধারণ অনুভূতি হয়েছে। ম্যাচে আমরা যা চেয়েছি, তা করতে পারিনি। তাই একটু হতাশ। তবে এই দলের অংশ হতে পেরে আমি দারুণ গর্বিত।’
বাংলাদেশি মা-বাবার সন্তান শমিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচও খেলেছেন। লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবল না খেলা শমিত ক্লাব ফুটবলে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন।
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই মাঠে নামতে উন্মুখ ছিলেন। গত ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। যে কারণে তাঁর অপেক্ষাও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে পথচলা শুরু হলেও জয়টা দেখা হলো না।
এতে অবশ্য আফসোস নেই শমিতের। বললেন, ‘আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, বাফুফের সব সদস্য এবং অবশ্যই ভক্তদের ধন্যবাদ আমাকে এভাবে গ্রহণ করার জন্য। সবে তো শুরু হলো।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ আগামী অক্টোবরে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর হংকংকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাটিতে ম্যাচ। সেই দুই ম্যাচ খেলতে আবার ঢাকার ফিরবেন শমিত।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল