সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে শমিত সোমের। দল হারলেও অভিষেকেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের পুরো সময়ে ৬টি আশাজাগানিয়া সুযোগ তৈরি করেন শমিত। তারপরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

এ নিয়ে কিছুটা হতাশ হলেও এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত শমিত। আজ ঢাকা থেকে কানাডায় ফিরে গেছেন। এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশ ফুটবল দল এবং সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো এই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার এবং খেলার এক অসাধারণ অনুভূতি হয়েছে। ম্যাচে আমরা যা চেয়েছি, তা করতে পারিনি। তাই একটু হতাশ। তবে এই দলের অংশ হতে পেরে আমি দারুণ গর্বিত।’

বাংলাদেশি মা-বাবার সন্তান শমিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচও খেলেছেন। লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবল না খেলা শমিত ক্লাব ফুটবলে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন।

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই মাঠে নামতে উন্মুখ ছিলেন। গত ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। যে কারণে তাঁর অপেক্ষাও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে পথচলা শুরু হলেও জয়টা দেখা হলো না।

এতে অবশ্য আফসোস নেই শমিতের। বললেন, ‘আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, বাফুফের সব সদস্য এবং অবশ্যই ভক্তদের ধন্যবাদ আমাকে এভাবে গ্রহণ করার জন্য। সবে তো শুরু হলো।’

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ আগামী অক্টোবরে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর হংকংকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাটিতে ম্যাচ। সেই দুই ম্যাচ খেলতে আবার ঢাকার ফিরবেন শমিত।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ