ভ্যাপসা গরমে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে টানা প্রায় সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা। আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই টানা বিদ্যুৎ–বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েন উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন উপজেলার বাসিন্দারা। প্রথমে স্বাভাবিক লোডশেডিং মনে করা হলে সারা রাত তাঁদের অপেক্ষার শেষ হয়নি। রাত পেরিয়ে আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা সচল হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মির্জাগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগকেন্দ্রের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণ জানতে পারেননি সাধারণ গ্রাহকেরা। অনেকের ফোনও রিসিভ করা হয়নি। এতে তাঁদের মধ্যে আরও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উমর ফারুক বলেন, টানা সাত থেকে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় কয়েকজন রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল। বিদ্যুতের অভাবে শ্বাসকষ্টের অনেক রোগীকে নেবুলাইজড করা যায়নি, ফলে তাঁদের অসহনীয় কষ্ট পোহাতে হয়েছে। এ ছাড়া কেবিনের রোগীরাও নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

সুবিদখালী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার সিকদার বলেন, এমনিতেই গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছিল। এ সময় সারা রাত বিদ্যুৎবিহীন রাত কাটানো আরও কষ্টের। অনেকেই বাধ্য হয়ে সড়ক, খোলা মাঠ কিংবা বাড়ির ছাদে রাত কাটিয়েছেন।

মির্জাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব–জোনাল (সাব–স্টেশন) কার্যালয়ের এজিএম (সহকারী জেনারেল ম্যানেজার) পলক সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমে বরগুনা গ্রিডে সমস্যা হয়। মির্জাগঞ্জ থেকে পাশের বেতাগীতে বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে গিয়ে আমাদের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সারা রাত চেষ্টার পর আজ সকালে এটি স্বাভাবিক হয়েছে।’ গ্রাহকদের মুঠোফোন রিসিভ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ সময়ে সবার ফোন রিসিভ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘গত রাতে গ্রিডে সমস্যা থাকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। বিকল্প উপায়ে চেষ্টা করেও রাতে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্বাভাবিক করা যায়নি। এ জন্য আমরা দুঃখিত।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে ‘মবের শিকার’ পুলিশ কর্মকর্তা

রাজধানীর মিরপুরে বাজার করতে গিয়ে ‘মবের শিকার’ হয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনার সময় তাকে মারধর করা হয়। সেইসঙ্গে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মিরপুর থানার ওসি সাজ্জাদ রুমন সমকালকে বলেন, সকালে মিরপুর–৬ নম্বর কাঁচাবাজারে মবের শিকার হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানার আওতায় হওয়ায় পরে তাদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদুর রহমান ২০১৭ সালের আগে পুলিশের মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই কারণে তাকে স্থানীয় লোকজন চেনেন। পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি রাজবাড়ীর দুটি থানায় ওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি এখন ফরিদপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত।

 গতকাল সকাল ১১টার দিকে তিনি মিরপুরে বাজার করতে গেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০–১৫ জন নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ফেলেন। ওই সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ নিয়ে হট্টগোলের মধ্যে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলমের মোবাইল ফোন কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ