এক দশক আগেও ১৫ থেকে ২০ কোটি ইউরো রিলিজ ক্লজকে আকাশচুম্বী ভাবা হতো। ধারণা করা তো, এই দাম দিয়ে কোনো ক্লাবই আরেক ক্লাবের খেলোয়াড় ছাড়িয়ে নিতে পারবে না।

কিন্তু আরবের ধনকুবেরেরা বিশ্বের নামীদামি তারকার দিকে হাত বাড়ানোর পর থেকে ধীরে ধীরে দৃশ্যপট বদলাতে থাকে। তাঁদের কাছে ১৫-২০ কোটি ইউরো কোনো ব্যাপারই নয়। এমনকি ৫০ কোটি ইউরো ঢেলেও জনে-জনে খেলোয়াড় কেনার সামর্থ্য তাঁদের আছে।

নিজেদের শীর্ষ ফুটবলারদের সুরক্ষিত রাখতে ইউরোপের ক্লাবগুলো তাই এমন রিলিজ ক্লজ ধার্য করা শুরু করেছে যেন অন্যরা চাইলেও তাঁদের দলে ভেড়াতে না পারে। ভেড়ালেও যেন ক্লাবটি আর্থিকভাবে বিপুল লাভবান হয়।

আরও পড়ুনবার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকছে ইয়ামালের২৭ মে ২০২৫

রিলিজ ক্লজের অঙ্কটা মিলিয়ন ছাড়িয়ে এখন বিলিয়নে পৌঁছে গেছে। বর্তমানে বিশ্বে এমন ১২ জন ফুটবলার আছেন, যাঁদের রিলিজ ক্লজ ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার সমান।

এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে রিলিজ ক্লজ সম্পর্কে ফুটবলপ্রেমীদের স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া যাক—

রিলিজ ক্লজকে বাইআউট ক্লজও বলা হয়। সহজ বাংলায় যেটিকে মুক্তির ধারা বলা যেতে পারে। এই ধারায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খেলোয়াড়ের চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে। খেলোয়াড়, তাঁর প্রতিনিধি বা এজেন্ট এবং ক্লাব—এই তিন পক্ষের সম্মতিতে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তা নির্ধারিত হয়।মূল ক্লাবের ইচ্ছার বাইরে ওই খেলোয়াড়কে অন্য কোনো ক্লাব নিতে চাইলে রিলিজ ক্লজ দিয়ে নিতে হয়। অস্বাভাবিক এই টাকার অঙ্ক একজন খেলোয়াড়কে পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়। তিনি বর্তমান ক্লাবে থাকতে না চাইলে রিলিজ ক্লজের মাধ্যমে অন্য ক্লাবে যাওয়ার সুযোগ থাকে।উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যাক। ধরুন, একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে একটি ক্লাবের ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে। তাঁর জন্য ৫০ কোটি ইউরো রিলিজ ক্লজ ধার্য করা আছে। চুক্তির মেয়াদ ফুরানোর আগে সেই ক্লাব ওই খেলোয়াড়কে ছাড়তে ইচ্ছুক নয়। কিন্তু মূল ক্লাবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অন্য ক্লাব যদি খেলোয়াড়টিকে কিনতে চায় এবং খেলোয়াড়ও চলে যেতে চান, তাহলে ৫০ কোটি ইউরো দিয়েই ছাড়িয়ে নিতে হবে। এতে ক্লাবটি তাদের পছন্দের খেলোয়াড়কে হারালেও আর্থিকভাবে বিপুল লাভবান হবে।

বর্তমানে যে ১২ ফুটবলারের রিলিজ ক্লজ রেকর্ড ১০০ কোটি ইউরো, তাঁদের ৬ জন রিয়াল মাদ্রিদের ও ৬ জন বার্সেলোনার।

রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের চার তারকা (বাঁ থেকে) এমবাপ্পে, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহর রেলগেইট সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক কাউসার আলম জানান, দুপুর ২টার দিকে নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হয়। রেলগেটের কাছাকাছি একজন ব্যক্তি এই ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন।

তিনি আরো জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হচ্ছে। অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু 

ঝিনাইদহে তুচ্ছ কারণে ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই নিহত

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
  • রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের ৭ উপদেশ
  • চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’
  • বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত
  • ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য বদলালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু