নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন
Published: 12th, June 2025 GMT
সম্প্রতি দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামুলক জরুরি নির্দেশনা অনুসারে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। ছোট্ট এই জেলাতে রয়েছে তৈরি পোশাক, পাট, সিমেন্টসহ নানা ধরনের কল-কারখানা। এসব কল-কারখানায় কাজ করছেন লাখো মানুষ। কাজের খোঁজে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে লোকজন ছুটে আসেন।
অনেকে আবার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ জেলা থেকে বিভিন্ন জেলায় ঈদ করতে যাওয়া লোকজন ফের নারায়ণগঞ্জে ফিরছেন। তাই এখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সম্ভাব্য করোনা মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢাকতে হবে।
করোনা মোকাবেলার লক্ষ্যে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান, স্বাস্থ্য ডেস্ক চালু, চিকিৎসাকাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তে রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর মেশিন আছে। আমরা দু'একদিনের ভিতরে কিট সরবরাহ করে সেই মেশিন গুলো চালু করব। পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলো আমাদের হাসপাতালেই হবে।
এ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে সিলেক্ট করেছি। গত করোনা কালীন সময়েও এ হাসপাতাল ডেডিকেটেড হিসেবে কাজ করেছে। জেনারেল রোগী গুলা এখানে ভর্তি হবে। আর কোন কিছুতে আতঙ্কিত না হয়ে যদি কোন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিবেন।
আইসোলেশনে থাকবেন এবং মাক্স ব্যবহার করবেন ও স্বাভাবিক খাবার দাবার খাবেন এবং জনসমাগম ভীড় এড়িয়ে চলবেন তাহলে আমি মনে করি এই করোনা সংক্রমণকে রোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব। আর নারায়ণগঞ্জে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো প্রচার করতে বলা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ প রস ত ত
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি (বিএজেপি) আগামী তিন মাসের জন্য রূপগঞ্জ থানার ২৭ সদস্য আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মো. নুর আলমকে রূপগঞ্জ থানার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং আব্দুর সালামকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
গত ৬ জুন (সোমবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএজেপির নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক বশির আহমেদ এবং সদস্য সচিব আবু ইউসুফ এই কমিটির অনুমোদন দেন।
নতুন কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বি এম রিয়াজুল হক রিয়াজ, মো. আরিফ রহমান, সুমন বিশ্বাস, চন্দন বিশ্বাস, কাজল বিশ্বাস, পরশ আলী, মাসুম ভূঞা, নুরুজ্জামান সরদার, শাহিনা আক্তার, মো. আল আমিন, নাজমুল ইসলাম নাঈম, রোবেল, রুবি, উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, জি এম রাইসুল ইসলাম, মাহামুদ হাসান, আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান, কবির হোসেন, আসমা আক্তার, রেশমা, মো. আবু সুফিয়ান, রোকসানা আক্তার, কাউছার মাহমুদ প্রমুখ।
কমিটি ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক বশির আহমেদ পার্টির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দলীয় নেতাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
নুর আলম বলেন, “বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি বিশ্বাস করে, দেশের মালিক জনগণ এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব। তারা দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন, যেখানে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা থাকবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস করে এবং সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলবে।”
ঢাকা/হাসান/এসবি