কানাডায় নৌকা উল্টে প্রাণ হারানো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন মো. সাইফুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামানের সহকর্মী ও স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামানের মরদেহ দেশে আনা হয়। ফ্লাইট উড়িয়ে ১০ জুন তাঁর দেশে আসার কথা থাকলেও গতকাল রাতে তিনি ফিরেছেন কফিনে।

ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে স্ত্রী ও আরেক মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ হিল রাকিব ও তাঁর ছেলের সঙ্গে একটি লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ৮ জুন অন্টারিও প্রদেশের স্টারজিয়ন লেকে ক্যানুতে (সরু লম্বা ছোট্ট নৌকা) চড়ে ভ্রমণে বের হন। নৌকাটি উল্টে গেলে পানিতে ডুবে প্রাণ হারান তাঁরা।

ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামানের সহকর্মীরা জানান, শুক্রবার বিজি-৩০৬ ফ্লাইটে টরন্টো থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান ও তাঁর বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ হিল রাকিবের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন সাইফুজ্জামানের স্ত্রী, দুই মেয়ে, বোন এবং ভগ্নিপতি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা থাকলেও আধা ঘণ্টা আগেই পৌঁছে যায়।

পরে উপস্থিত পাইলটরা সহকর্মী সাইফুজ্জামানকে স্যালুট দেন। তাঁর জন্য দোয়া করা হয়। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে রাখা হয়।

সহকর্মীরা জানান, সিএমএইচের মর্গ থেকে শনিবার সকাল নয়টার দিকে ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামানের মরদেহ তাঁর বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে আত্মীয়স্বজনেরা তাঁকে দেখেন। এরপর মরদেহ বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজার জন্য নেওয়া হয়। সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারীসহ পাইলট, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানাজায় অংশ নেন।

আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন পাইলট সাইফুজ্জামান১০ জুন ২০২৫

এরপর মরদেহ আবার ডিওএইচএসের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে কিছু সময় রেখে জোহরের নামাজ শেষে ডিওএইচএস মাঠে ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান এবং তাঁর বন্ধু রাকিবের একসঙ্গে জানাজা হয়। পরে সাইফুজ্জামানের মরদেহ বিমানবাহিনীর কবরস্থানে নিয়ে সামরিক রীতি অনুযায়ী তাঁকে স্যালুট জানানো হয়। বেলা পৌনে তিনটার দিকে সাইফুজ্জামানকে বাবা–মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।

সাইফুজ্জামান সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো.

আবদুল বাসিত মাহতাব প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাইফুজ্জামানের মতো পাইলট হারানো আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি দুর্দান্ত পাইলট ছিলেন। বিমানে তিনি অনেক জরুরি পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র মরদ হ সহকর ম প ইলট

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন