ভোজন রসিকদের জন্য তৈরি হচ্ছে ভাসমান রেষ্টুরেন্ট
Published: 25th, June 2025 GMT
শহর থেকে দূরে নদীতে ভাসমান একটি রেস্টুরেন্টে সময় উদযাপনের সুযোগ হচ্ছে দেশেই। সৌন্দর্যপ্রেমী আর ভোজন রসিকরা জেনে আনন্দিত হবেন, চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ফরাজিকান্দিতে প্রায় দুইশো ড্রামের ওপর ধনাগোদা নদীতে ভাসমান রেষ্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন ৪ উদ্যোক্তা। ড্রামগুলো লোহার রিংয়ের সাথে মজবুতভাবে যুক্ত করে এর ওপর মুলি বাঁশ ও কাঠের তৈরি রেষ্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
১২নং ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরমাছুয়া গ্রামে গিয়ে প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা নিয়ে ভাসমান রেষ্টুরেন্টির কার্যক্রম দেখা যায়। ছোট ছোট খুপরি ঘর, নানা রংয়ের বাতির আলোয় আলোকিত করা হয়েছে।
রেস্টুরেন্টটির পরিচালক অভি মাহমুদ সবুজ বলেন, ‘‘আমি ঢাকাতে ইলেকট্রিক ব্যবসায় নিয়োজিত থাকাকালীন দেশের নানা প্রান্তে যেতে হয়েছে। সেখানে নদীর ওপর ভাসমান রেষ্টুরেন্টগুলো দেখে নিজেও একই রকম কিছু করার স্বপ্ন দেখছিলাম। এরপর এলাকার আরও কয়েকজনসহ পরিকল্পনা করে ধনাগোদা নদীর ওপর এই ভাসমান রেষ্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করেছি।’’
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত এই রেষ্টুরেন্টটি চালু থাকবে। এখানে একসাথে ১শ’ ২০ জন মানুষ একত্রে বসে নাস্তা করতে পারবে। জন্মদিনসহ ছোটখাটো মিটিং এখানে করার ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে সার্বক্ষনিক ৩জন সহ প্রায় ১০/১২ জনের এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। রেষ্টুরেন্টটি নদীর বেড়িবাঁধ হতে অন্তত ২০ ফিট দুরুত্বে বেঁধে রেখে ভাসমান রাখা হয়েছে।যাতে পুরো নদীর ভিউ সহজে দেখা যায়।
রেস্টুরেন্টে যা যা থাকবে: চটপটি, ফুচকা, জুস, কফি, চিকেন ফ্রাই, স্যুপ এবং ফাস্টফুড আইটেম। এখানে থাকবে বারকিউ জোন, সেল্ফি জোন, ফিস লেক, বাটার ফ্লাই দোলনা, লাভার্স পয়েন্টসহ নানা আয়োজন। বেড়িবাঁধ ঘেঁষেও ভোজনরসিকদের পাশাপাশি বসে খাবার খাওয়ার আলাদা টং ঘর থাকছে।
সবুজ ছাড়াও রেষ্টুরেন্টটির অন্যান্য শেয়ারহোল্ডাররা হচ্ছেন সিদ্দিকুর রহমান,ওবায়দুল্লা বিন খায়ের এবং শফিকুল ইসলাম।
রেষ্টুরেন্টটির পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষ যাতে এই ভাসমান রেষ্টুরেন্টে একটু ফ্রেশ মুডে বসে সময় কাটানোর পাশাপাশি খাবার খেতে পারে সেজন্যই এটি করা। এখানে আড্ডার পাশাপাশি গান শুনারও ব্যবস্থা রয়েছে। আশাকরি দিনের আলোর পাশাপাশি রাতের বেলাতেও রেষ্টুরেন্টটির আলোকস্বজ্জা ভোজনরসিকদের সবার নজর কাড়বে।’’
ঢাকা/ অমরেশ/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নিহত যুবদল নেতা ইব্রাহিমের বাসায় মামুন মাহমুদ
ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাজীগঞ্জ এলাকায় যুবদল নেতা নিহত ইব্রাহিমের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
এসময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তিনি পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। শুক্রবার আসরের নামাজ শেষে মসজিদে ইব্রাহিম এর জন্য মিলাদ ও দোয়া শেষে তাঁর বাসায় যান তিনিসহ নেতৃবৃন্দ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহা-সমাবেশে হিব্রাহিম পুলিশের ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহনের একপর্যায়ে গত ৩ সেপ্টম্বর মারা যান।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন বিল্লাল গনতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইব্রাহিমের পরিবারের পাশে রয়েছেন। আমরাও তার পরিবারের সুবিধা ও অসুবিধায় পাশে থাকবো।
এরআগে ইব্রাহিমের বাড়ির পাশ্ববর্তী মসজিদে মিলাদে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।