পাবিপ্রবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান
Published: 30th, June 2025 GMT
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) পাবিপ্রবির কনভেনশন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের ২১৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
জাবিতে নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত নিয়ে যা জানা গেল
বেরোবিতে নোটিশ ছাড়াই ভর্তি ফি দ্বিগুণ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
এদিকে, একই অনুষ্ঠানে অনুমোদনকৃত ১০টি গবেষণা উদ্ভাবন প্রজেক্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী এবং ব্যক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য পাঁচজন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে গবেষণা উদ্ভাবন প্রজেক্টসমূহ উপস্থাপন করা হয়। ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর উৎপাদনমুখী, তারুণ্যমুখী বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়নে মেধাবী ও অস্বচ্ছল মেধাবীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করছি। আমরা মেধাবীদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “এই বৃত্তি একাডেমিক এক্সিলেন্স বাড়াতে, গবেষণা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য এই বৃত্তি বড় রকমের সহযোগিতা করবে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক প্রজেক্ট পাস করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা বেতন পাবেন। গবেষণা বাড়াতে বিভিন্ন সেল করা হয়েছে। এগুলো পুরোদমে চালু হলে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাবে এবং আরো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরী, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অনুমোদনকৃত ১০টি গবেষণা উদ্ভাবন প্রজেক্টগুলোর জন্য শিক্ষার্থী আবু মোহাম্মদ নুর, রতন আহমেদ, আরিফ হোসাইন, হাফিজুল ইসলাম, ফাতেমা খাতুন, তানভীর ইসলাম চৌধুরী, সাগর মিয়া, শাহাদত হোসাইন ভুইয়া, ইফতেখার শাকিরুল, নায়েসা ইয়াসমিন এ্যামি, আফরিনা শাহরিন শোভা, শাদ শাহরিয়ার ও তামান্না ইয়াসমিনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়া নিজস্ব উদ্ভাবনের জন্য এলইডি ষ্ট্যাম্পের জন্য তানভীর চৌধুরী ও তার টিম, ডিজিটাল স্কোরবোর্ডের জন্য আবির ও তার টিম, ক্যাফেটেরিয়া ডিজাইনের জন্য আব্দুল আল মামুন, সাদিয়া আফরিন, সৌরভ হুসাইন, ক্যালেন্ডার ডিজাইনের জন্য তৈয়বুর রহমান ও ঘাস কাটার মেশিনের জন্য নাজমুস সাকিবকে পুরস্কৃত করা হয়।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জন য অন ষ ঠ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন বানচালের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা ও আগামী নির্বাচন বানচাল করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফয়জুল হাকিম এ আহ্বান জানান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ফয়জুল হাকিম বলেন, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদবিরোধী সংগ্রামের যে পতাকা মাওলানা ভাসানী তুলে দিয়ে গেছেন, তা নিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে মাওলানা ভাসানী ছিলেন আজীবন আপসহীন।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের জাতীয় পরিষদের সদস্য কাজী ইকবাল বলেন, ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী পাকিস্তানের শাসকদের বিদায় জানিয়ে ছিলেন। ১৯৬৯ সালে ঘেরাও আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব শাহীর পতন ত্বরান্তিত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শফী রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক রফিক আহমেদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার। আলোচনা সভায় কবি শামসুর রাহমানের ‘সফেদ পাঞ্জাবি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন ইশরাত জাহান।