সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বারান্দায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। 

স্বজনদের অভিযোগ, প্রসব বেদনায় ছটফট করলেও লেবার ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা জানারও পরও সেবা দিতে এগিয়ে আসেনি প্রসূতিদের। পরে হাসপাতালের বারান্দায় নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে আড়াল করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন অন্যান্য রোগীর স্বজনরা। 

বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। দুই প্রসূতির একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। তিনি একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেছেন। 

অন্যজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো.

শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। তিনিও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, এদিন বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলার ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান দুই প্রসূতি ও তাদের স্বজনরা। স্বজনরা কর্তব্যরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শোনেনি বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরি বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই।

এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পাননি। পর্দা করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। পরে সেখানে উপস্থিত নারীরা নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে পর্দার ব্যবস্থা করেন। প্রথমজনের ১০ মিনিট পরে অপর প্রসূতিও একইভাবে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “যে ওয়ার্ডটিতে সন্তান প্রসব করেছেন সেটা পুরোটাই লেবার ওয়ার্ড। এখানে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ নারী আসেন। যারা বিভিন্ন উপজেলা থেকে রেফার্ড হয়ে আসেন। দেখা যায় তারা অন্তিম মুহূর্তে আসেন তখন সিরিয়াল থাকে না। এছাড়া একটি বাচ্চা চার মাস আগে ডেড ছিল। সেটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। অপর মায়ের ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”

তিনি জানান, কোন এক রোগীর স্বজন লেবার ওয়ার্ডের ছবি তুলে বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে ডাক্তার বা নার্সদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না। সবাই ওভার লোডেড হয়ে কাজ করছে। তার জন্য চাইলেও আমরা শতভাগ সার্ভিস দিতে পরি না। সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

ঢাকা/নূর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের দুই সপ্তাহ যেতেই গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু লিভারপুল তারকার

বিশ্ব ফুটবলজুড়ে শোকের ছায়া। গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন লিভারপুল ও পর্তুগালের তারকা ফরোয়ার্ড ডিয়োগো জোটা। বয়স হয়েছিল মাত্র ২৮ বছর। বিয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পরই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই প্রতিভাবান ফুটবলার। 

রয়টার্স জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর স্পেনের জামোরা প্রদেশের সারনাদিল্লা অঞ্চলে। স্থানীয় সময় ভোরে এ পর্তুগিজ ফুটবলার তার ভাই আন্দ্রেকে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। এতে মুহূর্তেই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে স্পেনের জামোরা প্রদেশের এ–৫২ মহাসড়কে। এতে জোটার সঙ্গে তার ২৬ বছর বয়সী ভাই আন্দ্রে সিলভাও ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। জোটার মত সিলভাও ফুটবলার ছিলেন। পর্তুগালের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব পেনাফিয়েলে খেলতেন ২৬ বছর বয়সী সিলভা। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি, কে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বা কী ভাবে দুর্ঘটনা হয়েছে।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই শৈশবের প্রেমিকা রুতে কারদোসোকে বিয়ে করেন জোতা। এই জুটির তিনটি সন্তান আছে। গত ২২ জুন পোর্তোয় বিয়ের ছবি সামাজিক কিছুদিন আগে (২৮ জুন) পোস্ট করেন জোতা। এরপর নিয়মিতই নিজেদের ছবি পোস্ট করেছেন। এর মধ্যেই ভেসে এল এমন মর্মান্তিক খবর।

দুর্ঘটনার মাত্র একদিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে স্ত্রী রুতে কারদোসো ও তিন সন্তানকে নিয়ে জোটা বলেছিলেন, ‘আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ।’ মাত্র দুই সপ্তাহ আগে পর্তুগালের পোর্তোতে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেন তিনি।

পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পেদ্রো প্রোএঞ্জা জোতা ও তার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে শোকবার্তায় বলেন, ‘ডিয়োগো শুধু একজন অসাধারণ খেলোয়াড়ই নয়, ছিলেন একজন দারুণ মানুষ। জাতীয় দলের হয়ে প্রায় ৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। তার প্রাণবন্ততা ও আন্তরিকতা সবসময়ই মনে রাখবে পর্তুগাল।’

২০২০ সালে উলভারহ্যাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন জোটা। তার পরেই তৎকালীন কোচ জার্গেন ক্লপের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। নিয়মিত প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে থাকেন। গত মৌসুমে লিভারপুলের লিগ জয়ী দলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২৬টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দালাই লামার উত্তরসূরি কীভাবে নির্বাচন করা হবে
  • নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
  • ‘উপহাসে এখন আর খারাপ লাগে না, কষ্ট হয় না’
  • বিয়ের দুই সপ্তাহ যেতেই গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু লিভারপুল তারকার
  • অপেক্ষা করতে করতে হাসপাতালের বারান্দায় চেয়ারে বসা অবস্থায় সন্তান প্রসব
  • অপেক্ষা করতে করতে হাসপাতালের বারান্দায় চেয়ারে বসা অবস্থা সন্তান প্রসব
  • দুই ছাত্রদল নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর
  • ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অবৈধ শেয়ার ইস্যু, তদন্ত করবে বিএসইসি
  • এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেল ২ জনই