সিলেটে রোগীর মৃত্যুর জেরে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
Published: 17th, September 2025 GMT
চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুর জেরে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাসপাতালটির কর্মচারীদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা ও নাম-পরিচয় জানা যায়নি। রোগীর স্বজনদের দাবি, তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আহত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ, রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট বিমানবন্দর সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন গোলাপগঞ্জের তানিম আহমদ (২৪) নামের এক তরুণ। তাঁকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ইবনে সিনা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় তানিমের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ তোলেন স্বজনেরা।
সূত্রগুলো আরও জানায়, বিষয়টি নিয়ে গতকাল রাতে রোগীর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে তাঁদের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের কর্মচারীরা রোগীর স্বজনদের মারধর করে বাইরে বের করে দেন। পরে স্বজনেরা একত্র হয়ে হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তানিমের চিকিৎসায় অবহেলার বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেটের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ওই রোগীর অবস্থা শুরু থেকে সংকটাপন্ন ছিল। হাসপাতালের একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিষয়টি তদারক করছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ওই রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর স্বজনেরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। একপর্যায়ে আইসিইউর সামনে ভাঙচুর ও এর ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় এক ব্যবস্থাপককে তাঁরা বেধড়ক মারধর করেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের প্রতিহত করেছেন। এতে হাসপাতালের সাত-আটজন আহত হয়েছেন। এর পরও তিনি বিষয়টি জানার পর সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। রোগীর স্বজনেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় ওই রোগীর পাঁচ স্বজন আহত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ইবনে সিনা হাসপাতালেরও কয়েকজন আহত হয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে হাসপাতালের কতজন আহত হয়েছেন, সেটি জানা যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র গ র স বজন স বজন র র ঘটন য় আহত হয় গতক ল ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘মানসিক ভারসম্যহীন’ ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোণার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, “ছেলের আঘাতে মোস্তফা মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি, নিহত ৩
বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নিহত মোস্তফা মিয়া একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। অভিযুক্তের নাম সাজ্জাদ মিয়া (২৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি প্রায়ই অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় চলে যান। গতকাল শনিবার রাতে খাবার শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মোস্তফা মিয়া। সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মোস্তফা মিয়া মারা যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ