ভাইয়ের লাশ নিয়ে ফিরছিলেন বাড়িতে, পথে প্রাণ গেল সড়ক দুর্ঘটনায়
Published: 5th, July 2025 GMT
ভাই মারা গেছেন বিদেশে। সেই ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নেওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে আরেক ভাইসহ দুজনের।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
নিহত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুরের তালুকদারপাড়ার বাবুল মিয়া (৩০) ও তাঁর মামাতো ভাই ওসমান গণি (৩২)।
নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয় তাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৭ জুলাই সৌদি আরবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানের মালিকের নির্যাতনে মারা যান বাবুল মিয়ার ভাই মোহাম্মদ রুবেল (২৫)। দীর্ঘ চেষ্টার পর আজ সকালে একটি ফ্লাইটে রুবেলের লাশ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। বড় ভাই বাবুল মিয়া রুবেলের লাশ গ্রহণ করার জন্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। সব প্রক্রিয়া শেষে ভাইয়ের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন বাবুল মিয়া ও তাঁর মামাতো ভাই ওসমান গণি। বিকেল সাড়ে ৫টায় বাতিসা নামক স্থানে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি একটি লরির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওসমান গণি নিহত হন। গুরুতর আহত বাবুল মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে মরদেহ নিয়ে আসা হয় মিয়া বাজার হাইওয়ে থানায়।
মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ওসি মো.শাহাব উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ আটক ২
যশোরে ২৩টি স্বর্ণের বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। শনিবার ভোরে যশোর সদরের মুরাদগড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়ে তাদের আটক করা হয়। তিন কেজি ওজনের ওই স্বর্ণের দাম সাড়ে চার কোটি টাকার বেশি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- যশোরের শার্শা উপজেলার সালতা গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩০) ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মো. মেহেদী হাসান (২৫)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন যে, ঢাকার সদরঘাট এলাকার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো সংগ্রহ করে তারা ভারতে পাচারের উদ্দেশে যশোর-মহেশপুর সীমান্তে যাচ্ছিলেন।
বিজিবি যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় একটি টহল দল অভিযান চালায়। এ সময় দুই ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তাদের কোমরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ২৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ৩ কেজি। যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।