মন্ডলপাড়ায় নাসির শেখ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 7th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার নাসির শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. শাহ আলম (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (৭ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১১ এর সিপিসি-১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
এরআগে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো.
জানা যায়, ভিকটিম নাসির শেখ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন ফরাজিকান্দা রাসেলের বাড়ির ভাড়াটিয়া। বিবাদীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে গত ২৫ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন মণ্ডলপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ‘মা’ হোটেলের সামনে বিবাদীরা নাসির শেখকে চাকু দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের লোকজন ভিকটিমকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাসির শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম এর বড় ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।