ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭
Published: 10th, July 2025 GMT
এডিস মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৩৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজন করে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগজুড়ে ১০১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৬
ডেঙ্গুর হটস্পট বরিশাল বিভাগ
এছাড়া গত একদিনে চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৮ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন, ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৫৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (২২ জন) হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে ডেঙ্গুতে বরিশাল বিভাগে ১৪ জন ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন করে মোট ১০ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে একজন করে মোট ২ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।
ঢাকা/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
পুরোনো ভবনের একটি ক্লাসরুম। দেয়ালের রং, পলেস্তারার অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। এ শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বেঞ্চ। এক সারির প্রথম বেঞ্চে বসে আছেন টিভি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমীন। অন্য সারির শেষের দিকের বেঞ্চে বসা ইরফান সাজ্জাদ। তার কোলে বসে আছে একটি শিশু।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইরফান সাজ্জাদ তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কারণ এই ক্লাসরুমে স্ত্রী শারমীনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা।
আরো পড়ুন:
পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’
ছবির ক্যাপশনে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “গল্পটা শুরু এই ক্লাস রুম থেকেই। সালটা ছিল ২০০৬। আমি ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার, সে ছিল প্রথম সারির! ঠিক এই বেঞ্চগুলোতে আমরা বসতাম! সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম, অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ক্লাস তখন মূল ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমে হতো।”
সময় রিক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “আজকে অলমোস্ট ২০ বছর পর সময়টা রিক্রিয়েট করলাম; যদিও আমার কোলে আরো একজন ব্যাক বেঞ্চার আছে! ক্লাস রুমটা একই আছে, ক্লাসরুম একই থাকে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়।”
ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ফারজানা ববি নামে একজন লেখেন, “আহ! সেই দিনগুলোতে নতুন করে ফিরে গেলাম যেন তোমার স্ট্যাটাস পড়ে। তোমাদের তিনজনের গল্পে আমরাও আছি কিন্তু। শারমীনসহ আবার এলে সবাইকে ডাক দিও একদিন। শিঙাড়ারার আড্ডা খুব মিস করি।”
আরেকজন লেখেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসাথে থাকুন, এটাই চাই ভাইয়া।” অপর্ণা বড়ুয়া লেখেন, “আমিও এ কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করেছিলাম। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত