ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা হজ-ওমরাহ সেভিংস স্কিম, সঞ্চয়ে স্বপ্নপূরণ
Published: 11th, July 2025 GMT
পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে রয়েছে মুদারাবা হজ সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও মুদারাবা উমরাহ সেভিংস স্কিম।  
এ দুটি স্কিম গ্রাহকদের ধাপে ধাপে অর্থ সঞ্চয় করতে সহায়তা করে এবং আর্থিক ও মানসিক প্রস্তুতির মাধ্যমে পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালন সহজতর করে।
এ সঞ্চয় হিসাবের মাধ্যমে গ্রাহকরা হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয়-যেমন, ভিসা, বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য খরচের-অগ্রিম প্রস্তুতির মাধ্যমে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারেন।
হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি তার সামর্থ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এক থেকে ২৫ বছর মেয়াদে মুদারাবা হজ সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।মুদারাবা পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ মুনাফা দেওয়া হয় এ অ্যাকাউন্টে। গ্রাহক তার পরিকল্পনা ও আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী হিসাবের মেয়াদের ভিত্তিতে কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত করতে পারেন বিধায় হজের জন্য টাকা জমানো অধিকতর সহজ হয়।
গ্রাহক হিসাবের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদের পূর্বেই হজ সম্পাদনে আগ্রহী হন তাহলে তিনি তার মুদারাবা হজ সঞ্চয় হিসাবে জমাকৃত অর্থের সঙ্গে ওই বছর নির্ধারিত হজের টাকার অবশিষ্টাংশ জমা করে হজ পালন করতে পারবেন।
একইভাবে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি তার সামর্থ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ১-১২ বছর মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে উমরাহর টাকা জমা করতে পারেন। ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি নিজ নামে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার নামে পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবক এই হিসাব খুলতে পারবেন। মুদারাবা পদ্ধতিতে মুনাফা দেওয়া হয় এ অ্যাকাউন্টে।
ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট আউটলেটে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। হিসাব খোলার জন্য হিসাবধারী ও নমিনির এক কপি করে মোট দুই কপি সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টের কপি দিয়ে এ হিসাব খোলা যায়। সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করেও গ্রাহক নিজে নিজে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
মাসিক কিস্তির টাকা পরিশোধে কোনো ঝামেলা নেই। শাখায় সঞ্চয় হিসাব থেকে হজ্জ ও ওমরাহ অ্যাকাউন্টে মাসিক কিস্তির টাকা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করা যায়। এছাড়া সেলফিন অ্যাপ ও আই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিজেই কিস্তির টাকা ট্রান্সফার করতে পারেন।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য ক উন ট জ ও ওমর হ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ হাজারের বেশি প্রাচীন নিদর্শন নিয়ে মিসরের জাদুঘর খুলছে শনিবার
পিরামিড–মমি–ফারাওয়ের দেশ মিসর। মিসর মানেই অনুবিস–রা–ওসিরিসের পৌরাণিক কাহিনি। মিসরীয় সভ্যতার এসব ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সমাহার নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল এক জাদুঘর। বিখ্যাত গিজা পিরামিডের কাছেই জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হচ্ছে শনিবার।
বড় এই জাদুঘরের নাম দ্য গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম। ২০০৫ সাল থেকে দুই দশক ধরে চলেছে এর নির্মাণকাজ। খরচ হয়েছে ১০০ কোটি ডলার। জাদুঘরটিতে প্রদর্শন করা হবে মিসরীয় সভ্যতার ৫০ হাজারের বেশি প্রাচীন নিদর্শন। একক কোনো প্রাচীন সভ্যতা নিয়ে এত নিদর্শন আর কোনো জাদুঘরে নেই।
জাদুঘরটির নির্মাণকাজ হয়তো আগেই শেষ হতো। তবে ২০১১ সালে আরব বসন্তের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে মিসরের অর্থনীতি। বারবার বিদ্রোহ–বিপ্লবে পিছিয়ে যায় কাজ। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে জাদুঘরটি খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের কারণে সে তারিখও পেছায়। শেষ পর্যন্ত শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘরটিতে পড়তে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের পা।
জাদুঘরের প্রবেশমুখে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবে বিশাল একটি মূর্তি। ৩ হাজার ২০০ বছরের পুরোনো ও ৩৬ ফুট লম্বা মূর্তিটি সবচেয়ে বিখ্যাত ফারাও (সম্রাট) রামেসিস দ্য গ্রেটের। জাদুঘরে প্রবেশের পর এগোতে হবে ছয়তলা সিঁড়ি ধরে। সিঁড়ির পাশ দিয়ে সারি সারি সাজানো প্রাচীন মূর্তি। তা দেখতে দেখতে সিঁড়ির শেষ প্রান্তে পৌঁছালে সামনে আসবে প্রধান প্রদর্শন গ্যালারিগুলো।
জাদুঘরের প্রদর্শন গ্যালারিগুলো মোট ২ লাখ ৫৮ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর। সেখানে ৫০ হাজার প্রাচীন নিদর্শনের অনেকগুলোয় আনা হয়েছে মিসর জাদুঘর থেকে। এই জাদুঘর রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে। বাকি নিদর্শনগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সম্প্রতি খনন করা ফারাও যুগের বিভিন্ন সমাধি থেকে।
শনিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বড় আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফারাও তুতেনখামেনের সমাধি থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ৫ হাজার নিদর্শন। এ ছাড়া রয়েছে গিজা পিরামিডের নির্মাতা ফারাও খুফুর একটি নৌকা। ৪ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই কাঠের নৌকা পঞ্চাশের দশকে খুফুর পিরামিডের কাছে খনন করে বের করা হয়েছিল।
এমন সব নজরকাড়া নিদর্শন দেখতে জাদুঘরটিতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে ধারণা জাদুঘরের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হাসান আলামের। তাঁর ভাষায়, জাদুঘরটি উদ্বোধনের জন্য বিশ্ব অপেক্ষা করছে। সবাই রোমাঞ্চের মধ্যে রয়েছেন।
 জুলাই সনদের নির্দেশনা বাংলাদেশকে পথ দেখাবে: আলী রীয়াজ
জুলাই সনদের নির্দেশনা বাংলাদেশকে পথ দেখাবে: আলী রীয়াজ