জুলাই সনদের নির্দেশনা বাংলাদেশকে পথ দেখাবে: আলী রীয়াজ
Published: 17th, October 2025 GMT
“জুলাই সনদ একটি জাতীয় দলিল হিসেবে তৈরি হয়েছে, যার বাস্তবায়ন দ্রুতই ঘটবে এবং এই দিক-নির্দেশনার মধ্য দিয়েই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে” বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সনদ আমাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা এবং একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামের প্রতিফলন। প্রায় এক বছরের আন্তঃদলীয় আলোচনা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে এটি গঠিত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এই সনদ শুধুই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার চুক্তি নয়, বরং এটি একটি সামাজিক চুক্তি—নাগরিক, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের মধ্যে। দেশের জনগণের ত্যাগ, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ উৎসর্গকারীদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও এটি বিবেচিত।”
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছিল। এর বিরুদ্ধে দেশের নাগরিকেরা যে সাহসিকতা ও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে এক দফা দাবিতে পরিণত করে শেষ পর্যন্ত শাসকদের পলায়নে বাধ্য করেছে। এই জয়ই ‘জুলাই সনদ’-এর জন্ম দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “এটি শেষ নয়, বরং রাষ্ট্র সংস্কারের পথে প্রথম ধাপ। দলিল এক দিনেই পরিবর্তন আনতে পারবে না, তবে এর দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নাগরিক মতামতের ভিত্তিতে এটি ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে পরিচালিত করবে।”
তিনি বলেন, “মতের পার্থক্য থাকবেই, সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা সবাই একসাথে দাঁড়াব। এই ঐক্যই আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে।”
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই সনদ
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটফুটে কন্যা শিশুর জন্ম দিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা শিশু।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এফুটফুটে কন্যাশিশুটির মা হন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কেউ ওই নারীর পরিচয় জানে না। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। রাতে তিনি লংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে ঘুমাতেন।
শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ স্কুলের পরিত্যক্ত ভবন থেকে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে এলাকাবাসী ছুটে যান। গিয়ে তারা দেখেন, ওই নারী একটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তারা দ্রুত মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান এবং তাদের খাবার ও প্রাথমিক সেবা প্রদান করেন। শিশুটি সুস্থ থাকলেও মানসিক ভারসাম্যহীন মা দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মোশারফ হোসেন ননী বলেন, “বাচ্চা প্রসবের খবর পেয়ে আমরা সামাজিকভাবে শিশুটির আলাদা সেবার ব্যবস্থা করেছি। শিশুটির প্রতি আমরা সবাই মায়া অনুভব করেছি। মা ও শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। এখন তাদের সেবা প্রয়োজন। তবে দীর্ঘমেয়াদি সেবা ও নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
শ্রীবরদী সমাজসেবা অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। হাসপাতালে সমাজসেবা শাখা রয়েছে। তারাই চিকিৎসা সহায়তা দেবে। এরপর নবজাতক ও ওই নারীর পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিব-উল-আহসান বলেন, “মা ও নবজাতকের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তাদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হবে। এছাড়াও ওই নারীর ঠিকানা সম্পর্কে খোঁজ নিতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।”
ঢাকা/তারিকুল/এস