রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযথ আর্থিক সহায়তা এবং আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে দলটি।

আজ মঙ্গলবার এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।

পরে সেখান থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.

) আবদুল ওহাব মিনার, কেন্দ্রীয় নেতা গাজী নাসির, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আহতদের সেবা–শুশ্রূষার জন‍্য চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা প্রচুর পরিমাণে রক্ত পেয়েছি। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবীরা খুবই তৎপর ছিলেন। সরকারের কাছে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের সুচিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

চিকিৎসাসেবার ব‍্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে মজিবুর রহমান বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে যে চিকিৎসা হচ্ছে, আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীনরা ছাড়া বাকিদের আশা করি (অবস্থার) উন্নতি ঘটবে। কিন্তু যাঁরা আইসিইউতে আছেন, তাঁদের মধ‍্য থেকে আরও দুঃসংবাদ আমাদের শুনতে হতে পারে। যাঁরা স্বজনহারা হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শোক ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রকে সহযোগী বন্ধু হিসেবে তাঁদের পাশে থাকতে হবে।’

পরে দলটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনারের নেতৃত্বে একটি দল চিকিৎসাসহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ